১১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকট, পাচার হওয়া বাংলাদেশি সম্পদ উদ্ধার, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার লন্ডনের একটি হোটেলে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েলের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণের নানা দিক উঠে আসে।

অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পূর্ববর্তী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতি এনেছে।” পাচারকৃত এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

জোনাথন পাওয়েল বাংলাদেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ।

ট্যাগ

জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

রোহিঙ্গা সংকট, পাচার হওয়া বাংলাদেশি সম্পদ উদ্ধার, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার লন্ডনের একটি হোটেলে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েলের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণের নানা দিক উঠে আসে।

অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পূর্ববর্তী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতি এনেছে।” পাচারকৃত এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

জোনাথন পাওয়েল বাংলাদেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ।