১২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য,

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযানের জেরে। ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে। ইরানি হামলায় অন্তত ৩ জন ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও ড্রোন ইউনিট ইরানের খোররামাবাদ, কেরমানশাহ ও তাবরিজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের পাশাপাশি দেশটির পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ৯ জন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, এ হামলা ছিল “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক এবং প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ”।

পরদিন, শনিবার ভোররাতে ইরান ‘কাসিম বশির’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও বাণিজ্যিক শহর তেল আবিবে পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেসামরিক এলাকাও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ও থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও সব ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দিতে ব্যর্থ হয়।

শনিবার বিকালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর যদি হামলা চলতেই থাকে, তাহলে তেহরানও জ্বলবে।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, খোররামাবাদ, তাবরিজ ও কেরমানশাহ শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় রাখা হয়েছে, যা নতুন হামলার পূর্বাভাস দিচ্ছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি একে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেন।

এই পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যস্থতা ছাড়া এই সংঘর্ষ যে বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, তা আর অস্বাভাবিক নয়।

ট্যাগ

ইসরায়েল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য,

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযানের জেরে। ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে। ইরানি হামলায় অন্তত ৩ জন ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও ড্রোন ইউনিট ইরানের খোররামাবাদ, কেরমানশাহ ও তাবরিজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের পাশাপাশি দেশটির পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ৯ জন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, এ হামলা ছিল “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক এবং প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ”।

পরদিন, শনিবার ভোররাতে ইরান ‘কাসিম বশির’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও বাণিজ্যিক শহর তেল আবিবে পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেসামরিক এলাকাও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ও থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও সব ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দিতে ব্যর্থ হয়।

শনিবার বিকালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর যদি হামলা চলতেই থাকে, তাহলে তেহরানও জ্বলবে।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, খোররামাবাদ, তাবরিজ ও কেরমানশাহ শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় রাখা হয়েছে, যা নতুন হামলার পূর্বাভাস দিচ্ছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি একে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেন।

এই পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যস্থতা ছাড়া এই সংঘর্ষ যে বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, তা আর অস্বাভাবিক নয়।