
ইরানের পক্ষ থেকে যেকোনো সময় ও স্থানে হামলার হুমকির প্রেক্ষিতে বিশ্বের একাধিক দেশে নিজেদের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির স্থানীয় দৈনিক ইয়েদিওথ অহরনথ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। নিরাপত্তা হুমকির মুখে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের রক্ষায় এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তেল আবিব।
এদিকে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় আবারও প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার সময় তেল আবিবের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলায় বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ বাসভবনে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়:
“বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে মার্কিন সরকারি কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ আবাসস্থলে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।”
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বাত ইয়াম শহর। শহরটির মেয়র তসভিকা ব্রট জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫টিরও বেশি ভবনের মধ্যে ২২টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি একটি পুনর্গঠন কমিটিও গঠন করেছেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যে কেবল সামরিক নয়, বরং কূটনৈতিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুতর প্রভাব ফেলছে, তা স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র ইতোমধ্যে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।