০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ঠেকাতে কৌশলী পদক্ষেপ ইরানের

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরান তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপকরণ গোপনে সরিয়ে নিয়েছে— এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি)।

শনিবার (২১ জুন) প্রকাশিত এক যৌথ মূল্যায়নে সংস্থাদুটি জানায়, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য হলো, গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।

আইএসডব্লিউ ও সিটিপি তাদের বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়— যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পারমাণবিক উপকরণ ধ্বংসে উদ্যোগী হয়, তবে তাদের দীর্ঘ, জটিল এবং সম্ভবত ব্যর্থ অনুসন্ধানে নামতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত কূটনৈতিক চাপ তৈরির একটি কৌশল। যুদ্ধ নয়, বরং আলোচনার পথে পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ফেরানোই ইরানের লক্ষ্য।

ইরান বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।

এই অভিযোগ-প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। অপরদিকে, ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬৩৯ জন নিহত এবং ১৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ট্যাগ

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ঠেকাতে কৌশলী পদক্ষেপ ইরানের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরান তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপকরণ গোপনে সরিয়ে নিয়েছে— এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি)।

শনিবার (২১ জুন) প্রকাশিত এক যৌথ মূল্যায়নে সংস্থাদুটি জানায়, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য হলো, গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।

আইএসডব্লিউ ও সিটিপি তাদের বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়— যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পারমাণবিক উপকরণ ধ্বংসে উদ্যোগী হয়, তবে তাদের দীর্ঘ, জটিল এবং সম্ভবত ব্যর্থ অনুসন্ধানে নামতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত কূটনৈতিক চাপ তৈরির একটি কৌশল। যুদ্ধ নয়, বরং আলোচনার পথে পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ফেরানোই ইরানের লক্ষ্য।

ইরান বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।

এই অভিযোগ-প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। অপরদিকে, ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬৩৯ জন নিহত এবং ১৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।