
জনগণের জুতার বাড়ি মুখে, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’ নূরুল হুদাকে
এক সময়ের নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তি আজ জনরোষে অপমানিত। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া, স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী হওয়া এবং ভোট ডাকাতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে অবশেষে জনগণের সামনে চরমভাবে অপমানিত হতে হলো।
রবিবার রাজধানীর একটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা তাকে জনতার সামনে ধরে ফেলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ফেলে, এবং তার মুখে পড়ে জুতার বাড়ি। ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’র প্রতি ঘৃণা প্রকাশে কেউ পিছপা হননি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে, নূরুল হুদাকে সোপর্দ করেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাহসী নেতা মোজাম্মেল হক ঢালী ও কাইয়ুম, যারা স্পষ্ট বলেন— “এই নূরুল হুদা হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যা ও ভোট ডাকাতির প্রতীক। আজ তাকে জনগণের রায়ে হেয় হতে হলো। এটা শুরু মাত্র।”
নেতারা আরও বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, ভোট ডাকাতির এই নায়ক আজ নিজেই মুখ দেখাতে পারছে না। তার বিচার এই মাটিতেই হবে।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে জনগণ আর ক্ষমা করবে না। যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তাদের জন্য আর কোনো সহানুভূতি নেই।
এ বিষয়ে পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। জনমনে প্রশ্ন— নূরুল হুদার মতো আরও যারা ‘ভোট ডাকাতিতে’ সহায়তা করেছেন, তাদের বিচার কবে?