১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্সে নতুন গতি: জুনের ২১ দিনেই এসেছে ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার,

চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম ২১ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন .৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, মাসের বাকি দিনগুলোতে প্রবাহ অব্যাহত থাকলে জুন মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৮০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরোপুরি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো এই রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য স্বস্তি ফিরিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ব্যাংকিং চ্যানেলের আধুনিকায়নের কারণেই ধারাবাহিকতা এসেছে।

গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১. শতাংশ বেশি।
তবে দেশের তিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০২৫ সালের মার্চে৩৩০ কোটি ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই২১ জুন) মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ,৯৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬. শতাংশ বেশি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রবাহ টেকসইভাবে বজায় থাকলে অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ধারা অব্যাহত থাকবে।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রেমিট্যান্সে নতুন গতি: জুনের ২১ দিনেই এসেছে ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার,

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম ২১ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন .৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, মাসের বাকি দিনগুলোতে প্রবাহ অব্যাহত থাকলে জুন মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৮০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরোপুরি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো এই রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য স্বস্তি ফিরিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ব্যাংকিং চ্যানেলের আধুনিকায়নের কারণেই ধারাবাহিকতা এসেছে।

গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১. শতাংশ বেশি।
তবে দেশের তিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০২৫ সালের মার্চে৩৩০ কোটি ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই২১ জুন) মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ,৯৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬. শতাংশ বেশি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রবাহ টেকসইভাবে বজায় থাকলে অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ধারা অব্যাহত থাকবে।