০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংসে ‘আত্মবিশ্বাসী’: হোয়াইট হাউস

ইরানের পরমাণু সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। সোমবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’-তে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্যারোলিন বলেন, “হ্যাঁ, ইরানের পরমাণু বিষয়ক সক্ষমতাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ইতোমধ্যে মার্কিন বাহিনী হামলা শুরু করেছে এবং আমাদের বিশ্বাস, ইরান যে গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, সেই গোপন স্থাপনাগুলিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।”

তিনি আরও জানান, “আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস না থাকলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতেন না।”

এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে সরাসরি জড়িত না থাকলেও শনিবার রাতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক সামরিক অভিযানের আওতায় ফার্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলিতে মার্কিন বাহিনী সরাসরি আঘাত হানে।

এ ঘটনায় তেহরানের কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সরাসরি লঙ্ঘন। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল ও জ্বালানি পরিবহনে নতুন করে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংসে ‘আত্মবিশ্বাসী’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইরানের পরমাণু সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। সোমবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’-তে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্যারোলিন বলেন, “হ্যাঁ, ইরানের পরমাণু বিষয়ক সক্ষমতাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ইতোমধ্যে মার্কিন বাহিনী হামলা শুরু করেছে এবং আমাদের বিশ্বাস, ইরান যে গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, সেই গোপন স্থাপনাগুলিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।”

তিনি আরও জানান, “আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস না থাকলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতেন না।”

এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে সরাসরি জড়িত না থাকলেও শনিবার রাতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক সামরিক অভিযানের আওতায় ফার্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলিতে মার্কিন বাহিনী সরাসরি আঘাত হানে।

এ ঘটনায় তেহরানের কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সরাসরি লঙ্ঘন। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল ও জ্বালানি পরিবহনে নতুন করে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।