০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুখী দাম্পত্যের জন্য ভুলে যাওয়ার পরামর্শ কাজলের

বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কাজল ও অজয় দেবগন পার করলেন দাম্পত্য জীবনের ২৫টি বছর। দুই সন্তানসহ গড়ে তুলেছেন স্থায়ী একটি সুখের সংসার। কিন্তু এই দীর্ঘ পথচলা সহজ ছিল না—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কাজল নিজেই।

১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কাজল ও অজয়। তখন কাজলের ক্যারিয়ার ছিল মধ্যগগনে। হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্তে অবাক হন অনেকে, এমনকি কাজলের বাবা শমু মুখোপাধ্যায়ও মেয়ের সঙ্গে চার দিন কথা বলেননি। শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া আয়োজনে পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

দাম্পত্য জীবনে তাঁদের মধ্যে কখনোই চড়চড় প্রেমের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি। অজয় বরাবরই নীরব ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রক্ষণশীল। অন্যদিকে, কাজল বরাবরই স্পষ্টভাষী। সেই ধারাবাহিকতায় এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, “আমরা একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। সেই হিসেবে দেখতে গেলে, আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।”

তাহলে এত বছর টিকে থাকা সম্ভব হলো কীভাবে? এই প্রশ্নে কাজলের জবাব, “দাম্পত্যে সুখী থাকতে চাইলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে হবে। কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে, আর মাঝে মাঝে কানে কম শুনতে জানতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সব কিছু আঁকড়ে ধরে রাখলে সম্পর্ক চলে না। কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে জানতে হয়, তবেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়।”

২৫ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য যাত্রায় কাজল-অজয়ের এই অভিজ্ঞতা বলিউডে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তাঁদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে, শুধু ভালোবাসা নয়, সহনশীলতা, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ও বোঝাপড়াই সুখী বৈবাহিক জীবনের মূল চাবিকাঠি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সুখী দাম্পত্যের জন্য ভুলে যাওয়ার পরামর্শ কাজলের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কাজল ও অজয় দেবগন পার করলেন দাম্পত্য জীবনের ২৫টি বছর। দুই সন্তানসহ গড়ে তুলেছেন স্থায়ী একটি সুখের সংসার। কিন্তু এই দীর্ঘ পথচলা সহজ ছিল না—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কাজল নিজেই।

১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কাজল ও অজয়। তখন কাজলের ক্যারিয়ার ছিল মধ্যগগনে। হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্তে অবাক হন অনেকে, এমনকি কাজলের বাবা শমু মুখোপাধ্যায়ও মেয়ের সঙ্গে চার দিন কথা বলেননি। শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া আয়োজনে পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

দাম্পত্য জীবনে তাঁদের মধ্যে কখনোই চড়চড় প্রেমের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি। অজয় বরাবরই নীরব ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রক্ষণশীল। অন্যদিকে, কাজল বরাবরই স্পষ্টভাষী। সেই ধারাবাহিকতায় এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, “আমরা একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। সেই হিসেবে দেখতে গেলে, আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।”

তাহলে এত বছর টিকে থাকা সম্ভব হলো কীভাবে? এই প্রশ্নে কাজলের জবাব, “দাম্পত্যে সুখী থাকতে চাইলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে হবে। কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে, আর মাঝে মাঝে কানে কম শুনতে জানতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সব কিছু আঁকড়ে ধরে রাখলে সম্পর্ক চলে না। কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে জানতে হয়, তবেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়।”

২৫ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য যাত্রায় কাজল-অজয়ের এই অভিজ্ঞতা বলিউডে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তাঁদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে, শুধু ভালোবাসা নয়, সহনশীলতা, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ও বোঝাপড়াই সুখী বৈবাহিক জীবনের মূল চাবিকাঠি।