০৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“জুলাই হোক গণজাগরণ ও ঐক্যের মাস”—ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্তবড় সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়— যখন জনগণ জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। এই জুলাই হোক গণজাগরণ ও জাতীয় ঐক্যের মাস।”

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই আন্দোলনের মূল বার্তা ছিল— ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে বর্তমান সরকার, যাতে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”

তিনি বলেন, “১৬ বছর পর আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু এর গভীরে ছিল এক বিরাট স্বপ্ন— নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা। এখন থেকে আমরা প্রতিবছর এই সময়টিকে স্মরণ করব, যাতে আবার ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়। স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ করতে হবে।”

জুলাই আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকের এই কর্মসূচি শুধু শুরু নয়, এটি একটি নতুন শপথ। গত বছরের মতো এবারও আমরা চাই— সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্য পুনরায় গড়ে উঠুক।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছে। জুলাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অমোঘ আহ্বান, যার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের হাতে রাষ্ট্র ফিরিয়ে দেওয়া এবং ফ্যাসিবাদ চিরতরে বিলুপ্ত করা।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“জুলাই হোক গণজাগরণ ও ঐক্যের মাস”—ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:২৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্তবড় সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়— যখন জনগণ জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। এই জুলাই হোক গণজাগরণ ও জাতীয় ঐক্যের মাস।”

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই আন্দোলনের মূল বার্তা ছিল— ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে বর্তমান সরকার, যাতে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”

তিনি বলেন, “১৬ বছর পর আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু এর গভীরে ছিল এক বিরাট স্বপ্ন— নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা। এখন থেকে আমরা প্রতিবছর এই সময়টিকে স্মরণ করব, যাতে আবার ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়। স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ করতে হবে।”

জুলাই আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকের এই কর্মসূচি শুধু শুরু নয়, এটি একটি নতুন শপথ। গত বছরের মতো এবারও আমরা চাই— সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্য পুনরায় গড়ে উঠুক।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছে। জুলাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অমোঘ আহ্বান, যার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের হাতে রাষ্ট্র ফিরিয়ে দেওয়া এবং ফ্যাসিবাদ চিরতরে বিলুপ্ত করা।”