“স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি, ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়”—এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, এবং গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল—ছাত্র, শিক্ষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, তরুণ—সেই ঐক্যকে আবার জাগিয়ে তুলতেই এই কর্মসূচি।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংস্কারের এই সুযোগ যেন আর হারিয়ে না যায়।”

উদ্বোধনী দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচি”-র অংশ হিসেবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির একটি কিউআর কোড উন্মোচন করা হয় এবং প্রদর্শিত হয় চার মিনিটের একটি ট্রিবিউট ডকুমেন্টারি।

উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করব—যে লক্ষ্যে আমাদের তরুণ ছাত্ররা, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবার নতুন করে শপথ নেব।”

তিনি ঘোষণা করেন, এই কর্মসূচি প্রতি বছর পালন করা হবে, যেন স্বৈরাচার কখনোই আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।