১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় হামাসের হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত, মৃতের সংখ্যা ৮৮২ ছাড়াল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও তাদের মিত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ইসরায়েলি সেনা। নিহত সেনারা হলেন সার্জেন্ট আসাফ জামির (১৯) এবং সার্জেন্ট ইয়াইর এলিয়াহু (১৯)।

আসাফ জামিরের বাড়ি ইসরায়েলের দিমোনা শহরে। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৫৩তম আরমোর্ড ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। দক্ষিণ গাজায় শুক্রবার অভিযানের সময় একটি ট্যাংক বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুই সেনা আহত হন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

অপর নিহত সেনা ইয়াইর এলিয়াহু ছিলেন গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং সৈনিক। তার বাড়ি এজের শহরে। একটি ভারী সাঁজোয়া যান রকেটের আঘাতে বিস্ফোরিত হলে তিনি নিহত হন।

এই দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮২ জনে। একই সময়ে আহত হয়েছে আরও ৫,৮৪৪ জন সেনা—এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি বেতারমাধ্যম ‘কান’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে তারা ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পরই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬,৩৩১ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১,৩২,৬৩২ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা টানা অভিযান শেষে ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপের মুখে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে বিরতির দুই মাসের মাথায়, ১৮ মার্চ থেকে আবারও অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দ্বিতীয় দফার এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬,০০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ২০,৫৯১ জন আহত হয়েছেন।

হামাস যাদের জিম্মি করে নিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এসব জিম্মিদের উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজে-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ট্যাগ

গাজায় হামাসের হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত, মৃতের সংখ্যা ৮৮২ ছাড়াল

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও তাদের মিত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ইসরায়েলি সেনা। নিহত সেনারা হলেন সার্জেন্ট আসাফ জামির (১৯) এবং সার্জেন্ট ইয়াইর এলিয়াহু (১৯)।

আসাফ জামিরের বাড়ি ইসরায়েলের দিমোনা শহরে। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৫৩তম আরমোর্ড ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। দক্ষিণ গাজায় শুক্রবার অভিযানের সময় একটি ট্যাংক বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুই সেনা আহত হন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

অপর নিহত সেনা ইয়াইর এলিয়াহু ছিলেন গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং সৈনিক। তার বাড়ি এজের শহরে। একটি ভারী সাঁজোয়া যান রকেটের আঘাতে বিস্ফোরিত হলে তিনি নিহত হন।

এই দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮২ জনে। একই সময়ে আহত হয়েছে আরও ৫,৮৪৪ জন সেনা—এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি বেতারমাধ্যম ‘কান’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে তারা ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পরই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬,৩৩১ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১,৩২,৬৩২ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা টানা অভিযান শেষে ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপের মুখে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে বিরতির দুই মাসের মাথায়, ১৮ মার্চ থেকে আবারও অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দ্বিতীয় দফার এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬,০০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ২০,৫৯১ জন আহত হয়েছেন।

হামাস যাদের জিম্মি করে নিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এসব জিম্মিদের উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজে-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।