
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় নেভসেহির প্রদেশের ঐতিহাসিক ক্যাপাডোসিয়া অঞ্চলে এক ব্যতিক্রমধর্মী অভিজ্ঞতায় অংশ নিয়েছেন শতাধিক অশ্বারোহী। ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া ও অশ্বারোহী সংস্কৃতি উৎসব উপলক্ষে তারা সূর্যোদয়ের ঠিক আগে ঘোড়ায় চড়ে পরী চিমনির ছায়ায় ঘুরে দেখেন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট।
উৎসবের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঐতিহাসিক শহর গোর্মে। এখান থেকেই শুরু হয় ঘোড়ায় ভ্রমণ। সেইসঙ্গে স্থানীয় কর্মীরা প্রস্তুত করেন রঙিন গরম বাতাসের বেলুন, যা পর্যটকদের নিয়ে আকাশে উড়াল দেয়। ঘোড়ার ছুটে চলা আর বেলুনের উড়াল—এই যুগল দৃশ্য যেন এক স্বপ্নিল প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
উৎসবে অংশ নেন তুরস্কের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত অশ্বারোহীরা। এদের মধ্যে একজন ছিলেন তুর্কার টুনসার, যিনি তার খামার থেকে সাতটি ঘোড়া নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন,
“ক্যাপাডোসিয়া আসলেই সুন্দর ঘোড়ার দেশ। এই উৎসবটি চমৎকার এক আয়োজন, আমি চাই এটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হোক।”
ঘোড়ার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাও ছিল উৎসবের অংশ। এতে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ঘোড়ার সৌন্দর্য, শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ক্যাপাডোসিয়া ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি ভূগর্ভস্থ শহর, পরী চিমনি ও শতাব্দীপ্রাচীন বসতি স্থাপনার জন্য পরিচিত। এখানকার পরী চিমনি বা ‘ফেয়ারি চিমনি’ মূলত প্রাকৃতিক ক্ষয়ের মাধ্যমে গঠিত বিশেষ ধরনের শিলা, যা এর দৃশ্যপটকে করে তুলেছে অতুলনীয়।
এই উৎসব শুধু ঐতিহ্য নয়, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও আধুনিক পর্যটন অভিজ্ঞতার এক অনন্য সম্মিলন।