০৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় দাবানলে পুড়ল ১০০ বর্গকিলোমিটার বন, আন্তর্জাতিক সহায়তা দাবি

সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে টানা চতুর্থ দিন চলছে ভয়াবহ বন দাবানলের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই। প্রাদেশিক ও জরুরি কর্মীরা উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়ো বাতাস, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি পুড়িয়ে ছাই হতে দেখেছেন।

দমকলকর্মীরা লাতাকিয়ার রাবিয়া অঞ্চলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যেখানে বিশাল বনাঞ্চল ও জলপাই বাগানও ধ্বংস হয়েছে। দাবানলের ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী জর্ডান থেকে নাগরিক প্রতিরক্ষা দল শনিবার সিরিয়ায় পৌঁছে সহায়তা প্রদান শুরু করে।

সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রায়েদ আল-সালেহ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “২৮টি স্থানে প্রায় ১০,০০০ হেক্টর বনভূমি ছাই হয়ে গেছে। এটি একটি প্রকৃত পরিবেশগত বিপর্যয়।” তিনি বলেন, ৮০টির বেশি দমকল বাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন, পাশাপাশি তুরস্ক ও জর্ডান থেকেও সাহায্য এসেছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিমান বাহিনীর সহায়তায় জল ঢালার কাজ চালাচ্ছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। লাতাকিয়ার তুর্কমেন পর্বতমালায় আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা নিরলস লড়াই চালাচ্ছেন।

আগুনের তীব্রতা ও বিস্তারর কারণে বনাঞ্চল, কৃষিজমি এবং কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খালি করে দিতে হয়েছে। জাতিসংঘের উপ-দূত নাজাত রোচদি দাবি করেছেন, এই দাবানলের বিরুদ্ধে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা জরুরি।

মানবিক সাহায্যের জন্য জাতিসংঘের দলগুলি জরুরি মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিরিয়া দীর্ঘ সময়ের গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের পরিবেশগত দুর্যোগে ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সিরিয়ায় তাপপ্রবাহ এবং খরা বেড়েছে, যা দাবানলের সম্ভাবনা এবং ভয়াবহতা বাড়িয়েছে। জুন মাসে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছিলো, “সিরিয়া ৬০ বছরে এত ভয়াবহ জলবায়ু পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।”

ট্যাগ

সিরিয়ায় দাবানলে পুড়ল ১০০ বর্গকিলোমিটার বন, আন্তর্জাতিক সহায়তা দাবি

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে টানা চতুর্থ দিন চলছে ভয়াবহ বন দাবানলের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই। প্রাদেশিক ও জরুরি কর্মীরা উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়ো বাতাস, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি পুড়িয়ে ছাই হতে দেখেছেন।

দমকলকর্মীরা লাতাকিয়ার রাবিয়া অঞ্চলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যেখানে বিশাল বনাঞ্চল ও জলপাই বাগানও ধ্বংস হয়েছে। দাবানলের ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী জর্ডান থেকে নাগরিক প্রতিরক্ষা দল শনিবার সিরিয়ায় পৌঁছে সহায়তা প্রদান শুরু করে।

সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রায়েদ আল-সালেহ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “২৮টি স্থানে প্রায় ১০,০০০ হেক্টর বনভূমি ছাই হয়ে গেছে। এটি একটি প্রকৃত পরিবেশগত বিপর্যয়।” তিনি বলেন, ৮০টির বেশি দমকল বাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন, পাশাপাশি তুরস্ক ও জর্ডান থেকেও সাহায্য এসেছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিমান বাহিনীর সহায়তায় জল ঢালার কাজ চালাচ্ছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। লাতাকিয়ার তুর্কমেন পর্বতমালায় আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা নিরলস লড়াই চালাচ্ছেন।

আগুনের তীব্রতা ও বিস্তারর কারণে বনাঞ্চল, কৃষিজমি এবং কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খালি করে দিতে হয়েছে। জাতিসংঘের উপ-দূত নাজাত রোচদি দাবি করেছেন, এই দাবানলের বিরুদ্ধে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা জরুরি।

মানবিক সাহায্যের জন্য জাতিসংঘের দলগুলি জরুরি মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিরিয়া দীর্ঘ সময়ের গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের পরিবেশগত দুর্যোগে ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সিরিয়ায় তাপপ্রবাহ এবং খরা বেড়েছে, যা দাবানলের সম্ভাবনা এবং ভয়াবহতা বাড়িয়েছে। জুন মাসে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছিলো, “সিরিয়া ৬০ বছরে এত ভয়াবহ জলবায়ু পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।”