১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতি রাতে সূরা মুলক পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে রক্ষা

পবিত্র কোরআনের ৬৭ নম্বর সূরা ‘সূরা মুলক’ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা হিসেবে বিবেচিত। এই সূরার তিলাওয়াতের মাধ্যমে একজন মুমিন কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) সূরা মুলক এবং সূরা সাজদাহ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে তিলাওয়াত করতেন।

হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা মুলক পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।” এ হাদিসটি হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং তা মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ ও ইবনে মাযাহ-তে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সূরা মুলক শিখে নিজে পাঠ করবে এবং তার পরিবারকেও শেখাবে, কেয়ামতের দিন এই সূরা তার পক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে মুক্তি দিবে।” (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)

ধর্মবিশারদদের মতে, সূরা মুলক মানুষের ঈমানকে শক্তিশালী করে, জীবনের অসারতা ও পরকালের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সূরাটিতে মোট ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর রাজত্ব, সৃষ্টির নিপুণতা এবং মানুষের কর্মফল সংক্রান্ত পরকালের জবাবদিহিতার বিষয় তুলে ধরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুসলমানদের উচিত রাতে ঘুমানোর আগে এই সূরাটি পাঠ করা এবং পরিবারকেও এর শিক্ষা দেওয়া। কারণ এই ছোট একটি আমল কবরের কঠিন মুহূর্তে একজন মুমিনের জন্য আশ্রয় ও মুক্তির দরজা খুলে দিতে পারে।

ট্যাগ

প্রতি রাতে সূরা মুলক পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে রক্ষা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

পবিত্র কোরআনের ৬৭ নম্বর সূরা ‘সূরা মুলক’ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা হিসেবে বিবেচিত। এই সূরার তিলাওয়াতের মাধ্যমে একজন মুমিন কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) সূরা মুলক এবং সূরা সাজদাহ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে তিলাওয়াত করতেন।

হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা মুলক পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।” এ হাদিসটি হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং তা মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ ও ইবনে মাযাহ-তে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সূরা মুলক শিখে নিজে পাঠ করবে এবং তার পরিবারকেও শেখাবে, কেয়ামতের দিন এই সূরা তার পক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে মুক্তি দিবে।” (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)

ধর্মবিশারদদের মতে, সূরা মুলক মানুষের ঈমানকে শক্তিশালী করে, জীবনের অসারতা ও পরকালের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সূরাটিতে মোট ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর রাজত্ব, সৃষ্টির নিপুণতা এবং মানুষের কর্মফল সংক্রান্ত পরকালের জবাবদিহিতার বিষয় তুলে ধরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুসলমানদের উচিত রাতে ঘুমানোর আগে এই সূরাটি পাঠ করা এবং পরিবারকেও এর শিক্ষা দেওয়া। কারণ এই ছোট একটি আমল কবরের কঠিন মুহূর্তে একজন মুমিনের জন্য আশ্রয় ও মুক্তির দরজা খুলে দিতে পারে।