মানসিক অস্থিরতা, শত্রুর ভয়, অথবা চরম বিপদের সময় মুসলিমরা একটি দোয়ায় আশ্রয় নেয়—

🕌 দোয়াটি:

حَسْبُنَا ٱللَّهُ وَنِعْمَ ٱلْوَكِيلُ، نِعْمَ ٱلْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ ٱلنَّصِيرُ

“হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিঅ’মাল ওয়াকীল, নিঅ’মাল মাওলা ওয়া নিঅ’মান নাসীর।”

“আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক। কত উত্তম অভিভাবক, কত উত্তম সাহায্যকারী।”

এই দোয়া শুধু কিছু শব্দ নয়, বরং ঈমানদারদের জন্য এটি এক পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ও আস্থার ঘোষণা।

বিশেষজ্ঞ ইসলামিক স্কলারদের মতে, এ দোয়ার বিশেষত্ব হলো—এতে কোনো চাওয়া নেই। এখানে একজন মুমিন ঘোষণা করে বসেন:

“আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক!”

এই বাক্যটি সুরা আলে ইমরান-এর ১৭৩ নম্বর আয়াতে এসেছে। প্রেক্ষাপট ছিল বদর যুদ্ধের সময়, যখন মুসলিমদের জানানো হচ্ছিল—“তোমাদের বিরুদ্ধে বিশাল বাহিনী এগিয়ে আসছে”।
সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তে সাহাবারা বলেছিলেন:

“হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল।”

এরপরই আল্লাহ তাদের ঈমান আরও দৃঢ় করেন এবং বিজয় দান করেন।

ধর্মীয় বর্ণনা অনুযায়ী, অত্যাচারী রাজা নমরুদের নির্দেশে যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তিনি তখন এই দোয়াটি পড়েন।
আল্লাহ তা’আলা তখনই আগুনকে হুকুম দেন:

“হে আগুন! তুমি ইব্রাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।”

এ দোয়ার ফজিলত এতটাই শক্তিশালী যে তা আল্লাহর কুদরতের একটি প্রকাশ হয়ে দাঁড়ায়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও যুদ্ধ বা ভয়ঙ্কর মুহূর্তে এই দোয়াটি পাঠ করতেন। সাহাবিরা বলেছেন, এই দোয়া তাঁকে আত্মিক শক্তি ও দৃঢ়তা দিত।

শত্রুর ভয় বা হামলার আশঙ্কায়

মানসিক উদ্বেগ, হতাশা বা দুশ্চিন্তায়

অসুস্থতা ও দুর্বলতায়

যেকোনো বিপদ, ভয় বা অনিশ্চয়তার মধ্যে

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দোয়া কেবল মুখস্থ বলার বিষয় নয়, বরং হৃদয়ের গভীর বিশ্বাস থেকে উচ্চারণ করাই এর আসল শক্তি।

“আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনিই কত উত্তম কর্মবিধায়ক। তিনি কত উত্তম অভিভাবক, কত উত্তম সাহায্যকারী।”