১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মস্কোতে লাভরভ-ওয়াং বৈঠক: পশ্চিমের বিপরীতে জোট গঠনের বার্তা

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা আধুনিক বিশ্বের প্রধান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল, পরিপক্ব এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ–এর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওয়াং ই বলেন, “একটি অস্থিতিশীল, পরিবর্তনশীল ও বিভক্ত বিশ্বে রাশিয়া-চীন অংশীদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করছে। আমাদের রাজনৈতিক আস্থা, কৌশলগত সমন্বয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বিশ্বের জন্য একটি স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

প্রতিক্রিয়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, “চীন ও রাশিয়া এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক, বহুধ্রুবীয় বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করছে, যেখানে কোনো একক দেশের আধিপত্য থাকবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পশ্চিমা দমননীতি ও একতরফা শাসন ব্যবস্থার বিরোধিতা করছি।”

বৈঠকে দুই দেশ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, ইউক্রেন যুদ্ধ, এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জিও-স্ট্র্যাটেজিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করে। চীন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে থাকলেও, রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক এমন এক সময় হলো যখন ন্যাটো, জি-৭ এবং পশ্চিমা সামরিক জোটসমূহ ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, এবং চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে এই ঘনিষ্ঠতা বিশ্ব রাজনীতিতে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে—বিকল্প শক্তির সমন্বয় এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় এবং সংগঠিত। পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন প্রভাব বলয়ের বাইরে একটি জোট গড়ে তুলতে দুই দেশ এখন কৌশলগতভাবে আরও কাছাকাছি আসছে।

ট্যাগ

মস্কোতে লাভরভ-ওয়াং বৈঠক: পশ্চিমের বিপরীতে জোট গঠনের বার্তা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা আধুনিক বিশ্বের প্রধান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল, পরিপক্ব এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ–এর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওয়াং ই বলেন, “একটি অস্থিতিশীল, পরিবর্তনশীল ও বিভক্ত বিশ্বে রাশিয়া-চীন অংশীদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করছে। আমাদের রাজনৈতিক আস্থা, কৌশলগত সমন্বয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বিশ্বের জন্য একটি স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

প্রতিক্রিয়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, “চীন ও রাশিয়া এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক, বহুধ্রুবীয় বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করছে, যেখানে কোনো একক দেশের আধিপত্য থাকবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পশ্চিমা দমননীতি ও একতরফা শাসন ব্যবস্থার বিরোধিতা করছি।”

বৈঠকে দুই দেশ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, ইউক্রেন যুদ্ধ, এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জিও-স্ট্র্যাটেজিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করে। চীন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে থাকলেও, রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক এমন এক সময় হলো যখন ন্যাটো, জি-৭ এবং পশ্চিমা সামরিক জোটসমূহ ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, এবং চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে এই ঘনিষ্ঠতা বিশ্ব রাজনীতিতে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে—বিকল্প শক্তির সমন্বয় এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় এবং সংগঠিত। পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন প্রভাব বলয়ের বাইরে একটি জোট গড়ে তুলতে দুই দেশ এখন কৌশলগতভাবে আরও কাছাকাছি আসছে।