
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডের স্পিগেল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর পরিবর্তে মার্কিন সরকার একটি বিকল্প কৌশল নিয়েছে, যার আওতায় ন্যাটো সদস্য দেশগুলো তাদের অস্ত্র মজুদ যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনকে সরবরাহ করবে এবং পরে এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেই অস্ত্র পুনরায় কিনবে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিকল্পনার আওতায় প্রথমে ইউরোপীয় মিত্ররা তাদের নিজস্ব মজুদ থেকে অস্ত্র পাঠাবে। যুক্তরাষ্ট্র সেই মজুদ পূরণে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এইভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি না গিয়েও ইউক্রেনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দেবে এবং একসাথে ন্যাটো মিত্রদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাও টিকিয়ে রাখবে।
বিশেষ করে জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা এই প্রকল্পে অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে এবং নতুন এই পদ্ধতি তাদের অংশগ্রহণ আরও কাঠামোগত ও কার্যকর করে তুলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হ্রাস করার একটি কৌশল হতে পারে, কেননা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে এটি ইউরোপীয় মিত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকার উপরও আলোকপাত করছে।
এদিকে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কিয়েভ আশা করছে, পশ্চিমা মিত্রদের এই সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পারবে।