
শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুটি ম্যাচ দাপটের সঙ্গেই জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারক শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখেন শেখ মেহেদি হাসান, তিনি ১১ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে পরিস্থিতি সামাল দেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৪ রান। অধিনায়ক লিটন করেন ২৬ বলে ৩২ রান।
এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তানজিদ তামিম। একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২৭ বলে তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন তাওহিদ হৃদয়। বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাত্র ১৬ ওভার ৩ বলে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে শুরুতেই ব্রেকথ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর স্পিন আক্রমণে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। শেখ মেহেদির ঘূর্ণিতে কুপোকাত হন কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্দিমাল ও চারিথ আসালঙ্কা। ইনফর্ম আসালঙ্কাকে তিনি বোল্ড করেন মাত্র ৩ রানে।
লঙ্কানদের একমাত্র উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স আসে পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে। তবে তিনিও ৪৬ রানে থামেন মেহেদির বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষদিকে দাসুন শানাকা কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। তিনি ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন, তবে তা দলের হার ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না।
বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মেহেদির ৪ উইকেট ছাড়াও শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উৎসবে মেতে ওঠে।