১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬-এ আসছে পুরুষদের প্রথম জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি?

পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। YCT-529 নামের একটি হরমোনবিহীন ওষুধ পুরুষদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সাময়িকভাবে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ করে, এবং ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করার পর পুরুষের উর্বরতা সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ম্যাইকেল স্কিনার বলছেন, “এই বড়িটি জন্মনিয়ন্ত্রণে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাড়াবে। দীর্ঘদিন ধরেই নারীরা হরমোন-নির্ভর পদ্ধতির চাপ বহন করে আসছেন। এবার ভারসাম্য ফেরার সময় এসেছে।”

YCT-529-এর সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক দিক হলো—এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমায় না, ফলে যৌন ইচ্ছা (লিবিডো), মেজাজ বা শারীরিক সক্ষমতায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। এ দিক দিয়ে এটি প্রচলিত নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির তুলনায় অনেকটাই আলাদা।

এই সাফল্যে আন্তর্জাতিক মহলেও আশাবাদী প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির নিশ্চয়তা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়। YCT-529 একটি সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ।”

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, YCT-529 ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর, এবং এতে কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সনাক্ত হয়নি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপ সফলভাবে শেষ হয়েছে, এখন চলছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা।

বিশ্লেষকদের মতে, পুরুষদের বড়ি চালু হলে সমাজে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিনের নারীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করবে। দম্পতিরা যৌথভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগি করতে পারবেন, নারীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপও কমবে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ YCT-529 বাজারে আসতে পারে, যদি পরীক্ষার সব ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

২০২৬-এ আসছে পুরুষদের প্রথম জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি?

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। YCT-529 নামের একটি হরমোনবিহীন ওষুধ পুরুষদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সাময়িকভাবে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ করে, এবং ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করার পর পুরুষের উর্বরতা সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ম্যাইকেল স্কিনার বলছেন, “এই বড়িটি জন্মনিয়ন্ত্রণে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাড়াবে। দীর্ঘদিন ধরেই নারীরা হরমোন-নির্ভর পদ্ধতির চাপ বহন করে আসছেন। এবার ভারসাম্য ফেরার সময় এসেছে।”

YCT-529-এর সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক দিক হলো—এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমায় না, ফলে যৌন ইচ্ছা (লিবিডো), মেজাজ বা শারীরিক সক্ষমতায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। এ দিক দিয়ে এটি প্রচলিত নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির তুলনায় অনেকটাই আলাদা।

এই সাফল্যে আন্তর্জাতিক মহলেও আশাবাদী প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির নিশ্চয়তা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়। YCT-529 একটি সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ।”

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, YCT-529 ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর, এবং এতে কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সনাক্ত হয়নি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপ সফলভাবে শেষ হয়েছে, এখন চলছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা।

বিশ্লেষকদের মতে, পুরুষদের বড়ি চালু হলে সমাজে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিনের নারীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করবে। দম্পতিরা যৌথভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগি করতে পারবেন, নারীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপও কমবে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ YCT-529 বাজারে আসতে পারে, যদি পরীক্ষার সব ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।