০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে গুলিতে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

নিউইয়র্ক সিটির মিডটাউনে একটি বাণিজ্যিক অফিস ভবনে বন্দুকধারীর ভয়াবহ হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে লেক্সিংটন অ্যাভিনিউ ও ৫১ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে হামলাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা একাধিক গুলির শব্দ শুনেছেন এবং পরে একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি এম-৪ রাইফেল ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনের একটি নেভাদা রাজ্যের লাইসেন্স ছিল এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আগেও তথ্য নথিভুক্ত ছিল।

হামলাকারীর পরিচয় এখনও সরকারিভাবে প্রকাশ না করা হলেও, একটি নজরদারি ক্যামেরায় বন্দুক হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, যাকে সন্দেহভাজন হামলাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হামলাকারী আত্মঘাতী গুলিতে মারা যায়।

মেয়র অ্যাডামস বলেন, “আজকের এই ভয়াবহ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, বন্দুক সহজলভ্য হওয়ার ফলে নিরীহ মানুষের জীবন কতটা হুমকির মুখে পড়ে।” তিনি বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

নিউইয়র্কবাসী এবং পুলিশ বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অফিসার দিদারুল ইসলামের এই আত্মত্যাগকে “চূড়ান্ত ত্যাগ” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিউইয়র্কে গুলিতে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৪:২৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক সিটির মিডটাউনে একটি বাণিজ্যিক অফিস ভবনে বন্দুকধারীর ভয়াবহ হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে লেক্সিংটন অ্যাভিনিউ ও ৫১ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে হামলাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা একাধিক গুলির শব্দ শুনেছেন এবং পরে একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি এম-৪ রাইফেল ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনের একটি নেভাদা রাজ্যের লাইসেন্স ছিল এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আগেও তথ্য নথিভুক্ত ছিল।

হামলাকারীর পরিচয় এখনও সরকারিভাবে প্রকাশ না করা হলেও, একটি নজরদারি ক্যামেরায় বন্দুক হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, যাকে সন্দেহভাজন হামলাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হামলাকারী আত্মঘাতী গুলিতে মারা যায়।

মেয়র অ্যাডামস বলেন, “আজকের এই ভয়াবহ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, বন্দুক সহজলভ্য হওয়ার ফলে নিরীহ মানুষের জীবন কতটা হুমকির মুখে পড়ে।” তিনি বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

নিউইয়র্কবাসী এবং পুলিশ বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অফিসার দিদারুল ইসলামের এই আত্মত্যাগকে “চূড়ান্ত ত্যাগ” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।