০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সসহ অন্তত ১৫টি পশ্চিমা দেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পর এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনটির আয়োজন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি এবং যারা এখনও স্বীকৃতি দেয়নি, তাদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই সম্মেলনে যে ১৫টি দেশ স্বাক্ষর করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, সৌদি আরব, স্পেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। যদিও স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্তত ৯টি এখনো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তারা বলেছে—এটি তাদের ইতিবাচক বিবেচনায় রয়েছে। ওই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড।

এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্যও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

এই দুটি পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য হবে প্রথম জি-৭ ভুক্ত দেশ, যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা বিশ্বের এ সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরও ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব লিগ হামাসকে গাজায় অস্ত্রত্যাগ ও শাসন ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগ

সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সসহ অন্তত ১৫টি পশ্চিমা দেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পর এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনটির আয়োজন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি এবং যারা এখনও স্বীকৃতি দেয়নি, তাদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই সম্মেলনে যে ১৫টি দেশ স্বাক্ষর করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, সৌদি আরব, স্পেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। যদিও স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্তত ৯টি এখনো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তারা বলেছে—এটি তাদের ইতিবাচক বিবেচনায় রয়েছে। ওই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড।

এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্যও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

এই দুটি পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য হবে প্রথম জি-৭ ভুক্ত দেশ, যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা বিশ্বের এ সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরও ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব লিগ হামাসকে গাজায় অস্ত্রত্যাগ ও শাসন ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।