০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রীষ্ম এলেই কার্পেটে ঢেকে যায় তুরস্কের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ

প্রতি বছর গ্রীষ্মকাল এলে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় শহর আন্টালিয়ার পাশে দেখা যায় এক অভিনব ও দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। খালি ফসলের মাঠ—যার আকার প্রায় ৫৬টি ফুটবল মাঠের সমান—পরিণত হয় রঙিন কার্পেটের বিশাল প্রদর্শনীতে। হাজার হাজার হস্তনির্মিত কার্পেট সূর্যের নিচে পাশাপাশি বিছিয়ে দেওয়া হয়, যেন চারপাশ এক বিশাল শিল্পকর্মে রূপ নেয়।

এই অনন্য প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য শুধুই শোভা নয়। এতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ রঙগুলো সূর্যের আলোয় ধীরে ধীরে শুকিয়ে কাঙ্ক্ষিত ছায়া পায়। পাশাপাশি, রোদে থাকার সময় কার্পেট থেকে যেকোনো অবাঞ্ছিত গন্ধ বা রাসায়নিক উপাদানও অপসারিত হয়। এটি একাধারে প্রাকৃতিক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব।

কার্পেটগুলো পরে সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত গ্র্যান্ড বাজারে, যেখানে এগুলো বিক্রি হয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে। বহু কারিগরের শ্রমে তৈরি এই কার্পেটগুলো শুধুই গৃহসজ্জার উপকরণ নয়, বরং তুরস্কের ঐতিহ্য ও নান্দনিকতার এক জীবন্ত নিদর্শন।

এই পুরো দৃশ্য—আকাশ থেকে দেখলে যেন রঙিন কার্পেটের এক বিশাল মোজাইক—আজ তুরস্কের গ্রীষ্মকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক। এখানে প্রকৃতি, ইতিহাস ও কারুশিল্প একত্র হয়ে গড়ে তোলে এক অপূর্ব রূপকথা।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গ্রীষ্ম এলেই কার্পেটে ঢেকে যায় তুরস্কের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

প্রতি বছর গ্রীষ্মকাল এলে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় শহর আন্টালিয়ার পাশে দেখা যায় এক অভিনব ও দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। খালি ফসলের মাঠ—যার আকার প্রায় ৫৬টি ফুটবল মাঠের সমান—পরিণত হয় রঙিন কার্পেটের বিশাল প্রদর্শনীতে। হাজার হাজার হস্তনির্মিত কার্পেট সূর্যের নিচে পাশাপাশি বিছিয়ে দেওয়া হয়, যেন চারপাশ এক বিশাল শিল্পকর্মে রূপ নেয়।

এই অনন্য প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য শুধুই শোভা নয়। এতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ রঙগুলো সূর্যের আলোয় ধীরে ধীরে শুকিয়ে কাঙ্ক্ষিত ছায়া পায়। পাশাপাশি, রোদে থাকার সময় কার্পেট থেকে যেকোনো অবাঞ্ছিত গন্ধ বা রাসায়নিক উপাদানও অপসারিত হয়। এটি একাধারে প্রাকৃতিক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব।

কার্পেটগুলো পরে সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত গ্র্যান্ড বাজারে, যেখানে এগুলো বিক্রি হয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে। বহু কারিগরের শ্রমে তৈরি এই কার্পেটগুলো শুধুই গৃহসজ্জার উপকরণ নয়, বরং তুরস্কের ঐতিহ্য ও নান্দনিকতার এক জীবন্ত নিদর্শন।

এই পুরো দৃশ্য—আকাশ থেকে দেখলে যেন রঙিন কার্পেটের এক বিশাল মোজাইক—আজ তুরস্কের গ্রীষ্মকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক। এখানে প্রকৃতি, ইতিহাস ও কারুশিল্প একত্র হয়ে গড়ে তোলে এক অপূর্ব রূপকথা।