০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শয়তান ইবলিসেরও রয়েছে বিশাল বংশধর

শয়তান ইবলিস ছিল জিনদের একজন। ফেরেশতারা আদম (আঃ)-কে সিজদা করলেও সে অমান্য করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার রবের নির্দেশ অমান্য করল। তোমরা কি তাকে ও তার বংশকে আমার পরিবর্তে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, অথচ তারা তোমাদের শত্রু? জালিমদের জন্য কী মন্দ বিনিময়!” (সূরা কাহাফ, আয়াত: ৫০)।

জিন জাতি হলো এক স্বাধীন সত্তা, যাদের আছে ইচ্ছা, কর্মক্ষমতা, বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা। ইবলিসও তাদের একজন এবং তার রয়েছে সন্তান-সন্ততি।

মুফাসসির কাতাদা (রহ.) বলেন, ইবলিসের সন্তান হয় মানুষের মতো। কেউ কেউ বলেছেন, ইবলিস নিজ নিঃশ্বাস তার পশ্চাদ্দারে প্রবেশ করিয়ে ডিম্ব তৈরি করে এবং সেখান থেকে জন্ম নেয় বিভিন্ন শয়তান।

মুজাহিদ (রহ.) এই শয়তানদের নাম উল্লেখ করেছেন: জালিতুন, ওয়াসিন, লাকুস, আওয়ান, হাফফাপ, মুররাহ, মুসাব্বিত, দাসিম, ওয়ালহান।

প্রতিটি শয়তানের রয়েছে বিশেষ কাজ:
🔸 জালিতুন বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে ও সেখানে পতাকা গেড়ে রাখে।
🔸 ওয়াসিন মানুষকে হঠাৎ বিপদে ফেলার কাজে নিয়োজিত।
🔸 লাকুস অগ্নিপূজকদের সঙ্গে থাকে।
🔸 আওয়ান রাজা-বাদশাহ ও শাসকদের প্রভাবিত করে।
🔸 হাফফাপ মদ্যপায়ীদের উৎসাহ দেয়।
🔸 মুররাহ গান ও বাদ্যযন্ত্রপ্রেমীদের উসকায়।
🔸 মুসাব্বিত গিবত, বাজে কথা ছড়ানোর দায়িত্বে নিয়োজিত।
🔸 দাসিম ঘরের পরিবেশে কলহ সৃষ্টি করে।
🔸 ওয়ালহান অজু, নামাজ ও ইবাদতে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ তৈরি করে।

এই শয়তানদের কাজ হলো মানুষকে বিভিন্ন পথ থেকে বিভ্রান্ত করা এবং নানাভাবে আল্লাহর স্মরণ ও আনুগত্য থেকে ফিরিয়ে রাখা। প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব হলো এই কুমন্ত্রণাসমূহ চিনে সজাগ থাকা এবং কুরআন-সুন্নাহর আলোকে

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শয়তান ইবলিসেরও রয়েছে বিশাল বংশধর

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

শয়তান ইবলিস ছিল জিনদের একজন। ফেরেশতারা আদম (আঃ)-কে সিজদা করলেও সে অমান্য করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার রবের নির্দেশ অমান্য করল। তোমরা কি তাকে ও তার বংশকে আমার পরিবর্তে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, অথচ তারা তোমাদের শত্রু? জালিমদের জন্য কী মন্দ বিনিময়!” (সূরা কাহাফ, আয়াত: ৫০)।

জিন জাতি হলো এক স্বাধীন সত্তা, যাদের আছে ইচ্ছা, কর্মক্ষমতা, বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা। ইবলিসও তাদের একজন এবং তার রয়েছে সন্তান-সন্ততি।

মুফাসসির কাতাদা (রহ.) বলেন, ইবলিসের সন্তান হয় মানুষের মতো। কেউ কেউ বলেছেন, ইবলিস নিজ নিঃশ্বাস তার পশ্চাদ্দারে প্রবেশ করিয়ে ডিম্ব তৈরি করে এবং সেখান থেকে জন্ম নেয় বিভিন্ন শয়তান।

মুজাহিদ (রহ.) এই শয়তানদের নাম উল্লেখ করেছেন: জালিতুন, ওয়াসিন, লাকুস, আওয়ান, হাফফাপ, মুররাহ, মুসাব্বিত, দাসিম, ওয়ালহান।

প্রতিটি শয়তানের রয়েছে বিশেষ কাজ:
🔸 জালিতুন বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে ও সেখানে পতাকা গেড়ে রাখে।
🔸 ওয়াসিন মানুষকে হঠাৎ বিপদে ফেলার কাজে নিয়োজিত।
🔸 লাকুস অগ্নিপূজকদের সঙ্গে থাকে।
🔸 আওয়ান রাজা-বাদশাহ ও শাসকদের প্রভাবিত করে।
🔸 হাফফাপ মদ্যপায়ীদের উৎসাহ দেয়।
🔸 মুররাহ গান ও বাদ্যযন্ত্রপ্রেমীদের উসকায়।
🔸 মুসাব্বিত গিবত, বাজে কথা ছড়ানোর দায়িত্বে নিয়োজিত।
🔸 দাসিম ঘরের পরিবেশে কলহ সৃষ্টি করে।
🔸 ওয়ালহান অজু, নামাজ ও ইবাদতে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ তৈরি করে।

এই শয়তানদের কাজ হলো মানুষকে বিভিন্ন পথ থেকে বিভ্রান্ত করা এবং নানাভাবে আল্লাহর স্মরণ ও আনুগত্য থেকে ফিরিয়ে রাখা। প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব হলো এই কুমন্ত্রণাসমূহ চিনে সজাগ থাকা এবং কুরআন-সুন্নাহর আলোকে