০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার সহায়তায় চীনা ও ভারতীয় কোম্পানি ইইউর নজরদারিতে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) নতুন করে এক দফা নিষেধাজ্ঞা প্রস্তুত করছে, যার লক্ষ্য এবার চীন ও ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসন ও যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এসব কোম্পানি রাশিয়াকে সামরিক উপাদান, প্রযুক্তি বা নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ সরবরাহে জড়িত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া বিভিন্ন তৃতীয় দেশ ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর, ডুয়াল-ইউজ প্রযুক্তি এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির সামগ্রী সংগ্রহ করছে। ইইউর দাবি, এসব পণ্য রুশ সামরিক সরঞ্জামে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়াকে সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ পদক্ষেপ চীন ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ইইউ চায়, এই নিষেধাজ্ঞা সরাসরি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির উপরই সীমাবদ্ধ থাকুক এবং রাষ্ট্রীয় স্তরের সম্পর্কে প্রভাব না ফেলুক।

চীনা ও ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু প্রযুক্তি রপ্তানিকারক, অস্ত্রাংশ উৎপাদক ও লজিস্টিক ফার্ম রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও ইইউ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাটি প্রকাশ করেনি, তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইইউ এখন পর্যন্ত ১৩ দফা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করেছে। চীন ও ভারতের কোম্পানিকে যুক্ত করে ১৪তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজটি হতে যাচ্ছে আরও বিস্তৃত এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাশিয়ার সহায়তায় চীনা ও ভারতীয় কোম্পানি ইইউর নজরদারিতে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) নতুন করে এক দফা নিষেধাজ্ঞা প্রস্তুত করছে, যার লক্ষ্য এবার চীন ও ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসন ও যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এসব কোম্পানি রাশিয়াকে সামরিক উপাদান, প্রযুক্তি বা নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ সরবরাহে জড়িত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া বিভিন্ন তৃতীয় দেশ ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর, ডুয়াল-ইউজ প্রযুক্তি এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির সামগ্রী সংগ্রহ করছে। ইইউর দাবি, এসব পণ্য রুশ সামরিক সরঞ্জামে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়াকে সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ পদক্ষেপ চীন ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ইইউ চায়, এই নিষেধাজ্ঞা সরাসরি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির উপরই সীমাবদ্ধ থাকুক এবং রাষ্ট্রীয় স্তরের সম্পর্কে প্রভাব না ফেলুক।

চীনা ও ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু প্রযুক্তি রপ্তানিকারক, অস্ত্রাংশ উৎপাদক ও লজিস্টিক ফার্ম রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও ইইউ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাটি প্রকাশ করেনি, তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইইউ এখন পর্যন্ত ১৩ দফা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করেছে। চীন ও ভারতের কোম্পানিকে যুক্ত করে ১৪তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজটি হতে যাচ্ছে আরও বিস্তৃত এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।