১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সমাজকর্মী গীতা চৌধুরী প্রয়াত

 চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রাক্তণ শিক্ষিকা, সমাজসেবী এবং বহু মানুষের শ্রদ্ধার পাত্রা গীতা চৌধুরী আর নেই। ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রামের নিজ বাসভবনে পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

গীতা চৌধুরী ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকা। তিনি চট্টগ্রামের শিক্ষাজগতে শিশুদের প্রাথমিক বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর শিক্ষা পদ্ধতিতে ছিল মমতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ। তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

শিক্ষার বাইরেও তিনি ছিলেন সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিবেদিতপ্রাণ। বিশেষ করে শিশু ও নারীকল্যাণ, দুঃস্থদের সহায়তা, ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। নিঃস্বার্থ সেবা ও মানবিক মূল্যবোধ তাঁকে সমাজে একজন প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।

তাঁর স্বামী, প্রয়াত আশীষ চৌধুরী, ছিলেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রচ্ছদশিল্পী ও চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান। আশীষ চৌধুরী দেশের প্রকাশনা শিল্পে একটি স্বতন্ত্র ঘরানা তৈরি করেছিলেন, যার প্রচ্ছদশিল্প আজও সমাদৃত। তাঁদের পরিবারটি চট্টগ্রামের সংস্কৃতিমনা অভিজাত সমাজের অন্যতম পরিচিত নাম।

গীতা চৌধুরী এক পুত্র সৌমিক চৌধুরী এবং এক কন্যা অদিতি চৌধুরীসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবার অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সকল আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, ছাত্রছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ট্যাগ

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সমাজকর্মী গীতা চৌধুরী প্রয়াত

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

 চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রাক্তণ শিক্ষিকা, সমাজসেবী এবং বহু মানুষের শ্রদ্ধার পাত্রা গীতা চৌধুরী আর নেই। ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রামের নিজ বাসভবনে পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

গীতা চৌধুরী ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকা। তিনি চট্টগ্রামের শিক্ষাজগতে শিশুদের প্রাথমিক বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর শিক্ষা পদ্ধতিতে ছিল মমতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ। তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

শিক্ষার বাইরেও তিনি ছিলেন সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিবেদিতপ্রাণ। বিশেষ করে শিশু ও নারীকল্যাণ, দুঃস্থদের সহায়তা, ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। নিঃস্বার্থ সেবা ও মানবিক মূল্যবোধ তাঁকে সমাজে একজন প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।

তাঁর স্বামী, প্রয়াত আশীষ চৌধুরী, ছিলেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রচ্ছদশিল্পী ও চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান। আশীষ চৌধুরী দেশের প্রকাশনা শিল্পে একটি স্বতন্ত্র ঘরানা তৈরি করেছিলেন, যার প্রচ্ছদশিল্প আজও সমাদৃত। তাঁদের পরিবারটি চট্টগ্রামের সংস্কৃতিমনা অভিজাত সমাজের অন্যতম পরিচিত নাম।

গীতা চৌধুরী এক পুত্র সৌমিক চৌধুরী এবং এক কন্যা অদিতি চৌধুরীসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবার অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সকল আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, ছাত্রছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।