
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে অনেক নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা চাই কোনো নিরীহ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে এবং এজন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, ৫ আগস্টের পর দেশে আইনশৃঙ্খলার কিছু অবনতি হয়েছে, ইতোমধ্যে ২০ জন মানুষ খুন হয়েছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে এবং তথ্যদাতাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বডি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু ক্যামেরা পুলিশ, কারারক্ষী ও বিজিবির কাছে আছে। নতুন করে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনা হবে। প্রতিটি থানা হেডকোয়ার্টারেও এ ব্যবস্থা চালুর চিন্তা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে ৬ জন পুরুষ আনসার, ৪ জন নারী আনসার ও ২ জন অস্ত্রধারী আনসার থাকবেন। এবার প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য অতিরিক্ত একজন অস্ত্রধারী আনসার দেওয়া হবে। এছাড়া আরও ২–৩ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, ৮০ হাজারের বেশি সেনা, বিজিবি, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে নিরীহ মানুষকে আসামি বানিয়েছে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন তিনি। পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এখন মানুষ ঘটনাস্থলে সাহায্য করার চেয়ে ভিডিও করতে বেশি ব্যস্ত থাকে—এই মানসিকতা বদলাতে হবে।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায়ও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখের সামনে ঘটলে প্রতিহত করা সবার দায়িত্ব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।