
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানিয়েছেন, গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সংঘাতের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এর ভিডিও ফুটেজ পাকিস্তানের কাছে রয়েছে। রোববার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নাকভি বলেন, ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার ঘটনায় প্রমাণ ছাড়াই ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দুই দেশের সামরিক সংঘাত চলাকালীন উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের ফ্রান্সের তৈরি আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানও ভূপাতিত হয়েছে।
লাহোরে এক সেমিনারে নাকভি বলেন, তিনি সংঘাতের সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্দার আড়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় বিমান ধ্বংসের বিষয়ে প্রমাণ ছাড়া ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রাডার তথ্য ও মাঠপর্যায়ের প্রমাণ সংগ্রহের পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সবকটি বিমানের ধ্বংসের ভিডিও ফুটেজ পাকিস্তানের হাতে আসে।
নাকভি আরও জানান, সংঘাতের সময় পাকিস্তান দুটি ঘটনায় সাতটি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভেদ নিশ্চিত করেছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তের ভিতরে পড়ে, কিছু বাইরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালানো হয়, যাতে বেসামরিক ক্ষতি এড়ানো যায়। তিনি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলেও কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে একটি ঘাঁটিতে একজন বিমানবাহিনী সদস্য নিহত হন।
গত ৬-৭ মে ভারতের একাধিক বিমান হামলায় পাকিস্তানে অন্তত ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সংঘাতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল, তবে তিনি কোন পক্ষের বিমান ধ্বংস হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি।