০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফোনকল ফাঁস হওয়ার পর আলোচনায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী

২০২৪ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু দেশটির টেলিকম কোম্পানি হট-এর ভিআইপি সার্ভিস লাইনে কল করার সময় বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন। সম্প্রতি সেই ফোনকলের অডিও প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আরবি নাম পরিচয় দেওয়ার পর সারা নেতানিয়াহু বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন: আবারও একজন সন্ত্রাসী আমার কল ধরলো। ওই শিফটে কর্মরত অন্য প্রতিনিধিরাও আরব ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন এবং তারা জানিয়েছেন, সারা নেতানিয়াহুর কাছ থেকে অনুরূপ বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন।

ফোনকল প্রকাশের পর ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলেছে, এটি কেবল ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, বরং শাসকশ্রেণির ভেতরে আরব নাগরিকদের প্রতি গভীর বৈষম্যমূলক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। বিরোধী দলগুলোর নেতারা বলছেন, নেতানিয়াহু পরিবার বারবার এমন আচরণের মাধ্যমে দেশের ভেতরে সামাজিক বিভাজন উসকে দিচ্ছে।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েলি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই মন্তব্যকে লজ্জাজনক ও জাতিগত বিদ্বেষপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকে সারা নেতানিয়াহুর সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বলেও দাবি করেছেন।

ফোনকল প্রকাশের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো বলছে, এটি ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিদ্বেষ ও বৈষম্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আরব বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোও খবরটি বড় আকারে প্রচার করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলি সরকারকে এই ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন এক সময়ে এই বিতর্ক সামনে এলো যখন ইসরায়েল অভ্যন্তরীণভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। ফলে, সারা নেতানিয়াহুর মন্তব্য শুধু ব্যক্তিগত ইস্যু নয়, বরং এটি ইসরায়েলের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে।

 

ট্যাগ

ফোনকল ফাঁস হওয়ার পর আলোচনায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু দেশটির টেলিকম কোম্পানি হট-এর ভিআইপি সার্ভিস লাইনে কল করার সময় বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন। সম্প্রতি সেই ফোনকলের অডিও প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আরবি নাম পরিচয় দেওয়ার পর সারা নেতানিয়াহু বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন: আবারও একজন সন্ত্রাসী আমার কল ধরলো। ওই শিফটে কর্মরত অন্য প্রতিনিধিরাও আরব ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন এবং তারা জানিয়েছেন, সারা নেতানিয়াহুর কাছ থেকে অনুরূপ বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন।

ফোনকল প্রকাশের পর ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলেছে, এটি কেবল ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, বরং শাসকশ্রেণির ভেতরে আরব নাগরিকদের প্রতি গভীর বৈষম্যমূলক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। বিরোধী দলগুলোর নেতারা বলছেন, নেতানিয়াহু পরিবার বারবার এমন আচরণের মাধ্যমে দেশের ভেতরে সামাজিক বিভাজন উসকে দিচ্ছে।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েলি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই মন্তব্যকে লজ্জাজনক ও জাতিগত বিদ্বেষপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকে সারা নেতানিয়াহুর সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বলেও দাবি করেছেন।

ফোনকল প্রকাশের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো বলছে, এটি ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিদ্বেষ ও বৈষম্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আরব বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোও খবরটি বড় আকারে প্রচার করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলি সরকারকে এই ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন এক সময়ে এই বিতর্ক সামনে এলো যখন ইসরায়েল অভ্যন্তরীণভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। ফলে, সারা নেতানিয়াহুর মন্তব্য শুধু ব্যক্তিগত ইস্যু নয়, বরং এটি ইসরায়েলের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে।