০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপি পাকিস্তানকে আহ্বান একাত্তরের ইস্যু সমাধানে

ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধান করার জন্য। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

বৈঠক শেষে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে পূর্ববর্তী শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে জনগণের ধারণাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার, অর্থনীতির ও সংস্কৃতির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনো ধরনের বড় ভাই বা আধিপত্যবাদী মনোভাব দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারবে না।

দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বৈঠকে নদী, পানি, এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ও আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ, খরচ কমিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উন্নয়নের বিষয়েও প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতেও সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সার্ককে সক্রিয় করার সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধি নিয়ে কথোপকথন হয়েছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, একাত্তরের ইস্যু সমাধানে তারা প্রস্তুত এবং এনসিপি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বৈঠকটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমঝোতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এনসিপি আশা প্রকাশ করেছে, একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধান হলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে।

ট্যাগ

এনসিপি পাকিস্তানকে আহ্বান একাত্তরের ইস্যু সমাধানে

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধান করার জন্য। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

বৈঠক শেষে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে পূর্ববর্তী শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে জনগণের ধারণাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার, অর্থনীতির ও সংস্কৃতির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনো ধরনের বড় ভাই বা আধিপত্যবাদী মনোভাব দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারবে না।

দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বৈঠকে নদী, পানি, এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ও আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ, খরচ কমিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উন্নয়নের বিষয়েও প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতেও সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সার্ককে সক্রিয় করার সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধি নিয়ে কথোপকথন হয়েছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, একাত্তরের ইস্যু সমাধানে তারা প্রস্তুত এবং এনসিপি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বৈঠকটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমঝোতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এনসিপি আশা প্রকাশ করেছে, একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধান হলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে।