১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে বর্তমান মিয়ানমারের পরিস্থিতি তা সম্ভব করতে অনুকূল নয়। রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আট বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত করে। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা, যাদের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদারতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নতুন আগতদের আশ্রয়, জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা ও আতিথেয়তায় বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেখাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। তবে সীমান্তবর্তী স্থানচ্যুতি অব্যাহত আছে এবং রাখাইনে অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। তাই মূল সমস্যা সমাধানের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সতর্ক করেছে, সব সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সামরিক শাসন ও অন্যান্য সশস্ত্র পক্ষের দ্বারা আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে।

টেকসই সমাধান ও প্রত্যাবর্তন:
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে আসন্ন উচ্চ-স্তরের সম্মেলনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাবে। রোহিঙ্গাদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে।

আন্তর্জাতিক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড স্বাক্ষর করেছে। আট বছর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই সমাধানে এবং এর মূল কারণগুলো সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ট্যাগ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে বর্তমান মিয়ানমারের পরিস্থিতি তা সম্ভব করতে অনুকূল নয়। রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আট বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত করে। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা, যাদের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদারতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নতুন আগতদের আশ্রয়, জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা ও আতিথেয়তায় বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেখাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। তবে সীমান্তবর্তী স্থানচ্যুতি অব্যাহত আছে এবং রাখাইনে অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। তাই মূল সমস্যা সমাধানের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সতর্ক করেছে, সব সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সামরিক শাসন ও অন্যান্য সশস্ত্র পক্ষের দ্বারা আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে।

টেকসই সমাধান ও প্রত্যাবর্তন:
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে আসন্ন উচ্চ-স্তরের সম্মেলনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাবে। রোহিঙ্গাদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে।

আন্তর্জাতিক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড স্বাক্ষর করেছে। আট বছর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই সমাধানে এবং এর মূল কারণগুলো সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।