০৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা তিনটি দুর্নীতির মামলায় তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে রাজউকের এস্টেট ও ভূমি উপপরিচালক মাহবুবার রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল এবং উল্লাস চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) জানান, তারা তিনটি মামলার সাক্ষী এবং তিনটি হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামায় দেখা যায়, আসামিরা ঢাকায় বা এর আশপাশে ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকে হলফনামা জমা দেন, যাতে উল্লেখ করা হয় তাদের কোনো সম্পত্তি নেই এবং তারা অসহায়। এই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তারা পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন। এর আগে গত ১৩ আগস্ট মামলার বাদী তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ৩১ জুলাই আদালত এসব মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবার রাষ্ট্রীয় পদ ও ক্ষমতা অপব্যবহার করে এই প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পৃথকভাবে ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক, যার মধ্যে তিনটির সাক্ষ্যগ্রহণ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর।

ট্যাগ

শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা তিনটি দুর্নীতির মামলায় তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে রাজউকের এস্টেট ও ভূমি উপপরিচালক মাহবুবার রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল এবং উল্লাস চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) জানান, তারা তিনটি মামলার সাক্ষী এবং তিনটি হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামায় দেখা যায়, আসামিরা ঢাকায় বা এর আশপাশে ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকে হলফনামা জমা দেন, যাতে উল্লেখ করা হয় তাদের কোনো সম্পত্তি নেই এবং তারা অসহায়। এই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তারা পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন। এর আগে গত ১৩ আগস্ট মামলার বাদী তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ৩১ জুলাই আদালত এসব মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবার রাষ্ট্রীয় পদ ও ক্ষমতা অপব্যবহার করে এই প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পৃথকভাবে ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক, যার মধ্যে তিনটির সাক্ষ্যগ্রহণ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর।