০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঋণ পরিশোধের মধ্যে আসল বাবদ পরিশোধ হয়েছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসের ২৬৪.৮৮ মিলিয়নের চেয়ে বেশি। সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা সামান্য কমেছে গত বছরের জুলাইয়ের ১২০.৭৯ মিলিয়নের তুলনায়।

একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন ডলার। নতুন প্রতিশ্রুতিও এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের জুলাইয়ের ১৬.৪০ মিলিয়নের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ৪.০৮৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৪.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নতুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ১০.৭৩৯ বিলিয়নের তুলনায় কম। ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলার।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সর্বাধিক ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭৭.৫০ মিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক ৫৯.০৭ মিলিয়ন ডলার, জাপান ১৭.২৪ মিলিয়ন ডলার, ভারত ১৩.৬২ মিলিয়ন ডলার, এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ৩৫.৩৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে।

এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, চলতি অর্থবছরের শুরুতে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ও প্রাপ্তির গতিশীলতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে গত বছরের তুলনায় নতুন ঋণ চুক্তি ও বিতরণ কমেছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জুলাইয়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঋণ পরিশোধের মধ্যে আসল বাবদ পরিশোধ হয়েছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসের ২৬৪.৮৮ মিলিয়নের চেয়ে বেশি। সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা সামান্য কমেছে গত বছরের জুলাইয়ের ১২০.৭৯ মিলিয়নের তুলনায়।

একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন ডলার। নতুন প্রতিশ্রুতিও এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের জুলাইয়ের ১৬.৪০ মিলিয়নের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ৪.০৮৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৪.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নতুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ১০.৭৩৯ বিলিয়নের তুলনায় কম। ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলার।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সর্বাধিক ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭৭.৫০ মিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক ৫৯.০৭ মিলিয়ন ডলার, জাপান ১৭.২৪ মিলিয়ন ডলার, ভারত ১৩.৬২ মিলিয়ন ডলার, এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ৩৫.৩৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে।

এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, চলতি অর্থবছরের শুরুতে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ও প্রাপ্তির গতিশীলতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে গত বছরের তুলনায় নতুন ঋণ চুক্তি ও বিতরণ কমেছে।