
মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের বড় অংশ এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সতর্কতা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে—মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং রোহিঙ্গাদের পাচার করে অর্থ সংগ্রহ।
নাফ নদী ও স্থল সীমান্তের পুরো এলাকায় তারা অবস্থান করছে। বাংলাদেশে সীমান্ত কড়াকড়ি বাড়ায় আরাকান আর্মি বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ২৩ দিনে ৬৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে এবং ২৬৭ জন জেলেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অপহরণ করেছে। কোস্টগার্ড ও বিজিবি সীমান্তে টহল বাড়িয়ে জেলেদের উদ্ধার করছে।
আরাকান আর্মি কক্সবাজার এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও মাদক পাচারের রুটও ব্যবহার করছে। টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার করেছে। সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ও সংঘাত বৃদ্ধির কারণে বিজিবি নতুন ব্যাটেলিয়ন তৈরি করেছে।
সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানও বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এক বছরে বিজিবি ১,৩২১ কোটি টাকার ইয়াবা ও আইস জব্দ করেছে। বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মেজর জেনারেল(অব.) শহীদুল হক জানান, আরাকান আর্মি অর্থ ও অস্ত্র সংকটে রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ চাচ্ছে।
বিজিবি ও কোস্টগার্ড সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং মানবিকতার খাতিরে কিছু রোহিঙ্গার প্রবেশ অনুমতি দিচ্ছে। তবে তারা মাদক, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে