০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারা দেশের অরক্ষিত ম্যানহোল-ড্রেনের তালিকা জমার নির্দেশ

সারা দেশে কতগুলো অরক্ষিত ম্যানহোল, ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইন আছে, তার তালিকা তৈরি করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্ট এসময় গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে খোলা ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেন। জ্যোতির রেখে যাওয়া দুই শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়েও আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জবাব দিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও মনি ট্রেডিং করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়া নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে গাজীপুর মহানগর এলাকায় কতগুলো স্যুয়ারেজ, ম্যানহোল, ড্রেন ও নলকূপ খোলা অবস্থায় আছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা আদালতে পেশ করার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় কেউ অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের কী কী আধুনিক সরঞ্জাম আছে এবং সেগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না—তারও তথ্য দিতে বলা হয়েছিল।

রিট আবেদনে নিহত ফারিয়া তাসনিমের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আবেদনও করা হয়। এতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ একাধিক সরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবহেলাকে দায়ী করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতি (৩২)। তিন দিন পর, গত ২৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম জানান, যে ড্রেনে পড়ে যান জ্যোতি, সেই ড্রেনের পানিই শালিকচূড়া বিলে গিয়ে মিশে। সেখানেই খোঁজ চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

ট্যাগ

সারা দেশের অরক্ষিত ম্যানহোল-ড্রেনের তালিকা জমার নির্দেশ

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সারা দেশে কতগুলো অরক্ষিত ম্যানহোল, ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইন আছে, তার তালিকা তৈরি করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্ট এসময় গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে খোলা ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেন। জ্যোতির রেখে যাওয়া দুই শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়েও আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জবাব দিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও মনি ট্রেডিং করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়া নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে গাজীপুর মহানগর এলাকায় কতগুলো স্যুয়ারেজ, ম্যানহোল, ড্রেন ও নলকূপ খোলা অবস্থায় আছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা আদালতে পেশ করার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় কেউ অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের কী কী আধুনিক সরঞ্জাম আছে এবং সেগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না—তারও তথ্য দিতে বলা হয়েছিল।

রিট আবেদনে নিহত ফারিয়া তাসনিমের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আবেদনও করা হয়। এতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ একাধিক সরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবহেলাকে দায়ী করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতি (৩২)। তিন দিন পর, গত ২৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম জানান, যে ড্রেনে পড়ে যান জ্যোতি, সেই ড্রেনের পানিই শালিকচূড়া বিলে গিয়ে মিশে। সেখানেই খোঁজ চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।