০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহর গড়ে তোলা হবে

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ী এলাকায় শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, বরং একটি নতুন শহর গড়ে তোলা হবে, যা দেশের আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা)-এর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার ভিশন তুলে ধরেন।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫-২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০-২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫-২০৫৫ পর্যন্ত চলবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশের জিডিপিতে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শুধু একটি ফ্যাসিলেটিং জোন নয়, মহেশখালী-মাতারবাড়ী হবে নতুন শহরের জন্মভূমি। এখানে আমাদের ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলা হবে, যা আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে। সমুদ্র হবে দেশের জন্য একটি নতুন মহাসড়কের মতো পথপ্রদর্শক।” তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্র এবং সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের পরামর্শও তিনি দিয়েছেন।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজমের ওপরও বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মহেশখালী অঞ্চলের বনভূমি এবং প্রকৃতির বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বনভূমি সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আমরা এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।”

বৈঠকে উপস্থিত মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্নাও পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ট্যাগ

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহর গড়ে তোলা হবে

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ী এলাকায় শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, বরং একটি নতুন শহর গড়ে তোলা হবে, যা দেশের আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা)-এর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার ভিশন তুলে ধরেন।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫-২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০-২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫-২০৫৫ পর্যন্ত চলবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশের জিডিপিতে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শুধু একটি ফ্যাসিলেটিং জোন নয়, মহেশখালী-মাতারবাড়ী হবে নতুন শহরের জন্মভূমি। এখানে আমাদের ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলা হবে, যা আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে। সমুদ্র হবে দেশের জন্য একটি নতুন মহাসড়কের মতো পথপ্রদর্শক।” তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্র এবং সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের পরামর্শও তিনি দিয়েছেন।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজমের ওপরও বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মহেশখালী অঞ্চলের বনভূমি এবং প্রকৃতির বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বনভূমি সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আমরা এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।”

বৈঠকে উপস্থিত মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্নাও পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।