০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাসপোর্ট ছাড়াই অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য জরিমানা

ভারতে নতুন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়া দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারবেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

আইনের আওতায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন। এমনকি যারা দেশটিতে প্রবেশের পর তাদের নথির মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের পাশাপাশি তিব্বতের নাগরিকরাও যারা ১৯৫৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য। তবে চীন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তানের পথে ভারতে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

আইন অনুযায়ী, বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৩ লাখ রুপি জরিমানা ধার্য করা আছে।

তিব্বতি, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের জন্য অতিরিক্ত অবস্থানের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী জরিমানার হার নিচে দেওয়া হয়েছে: ৩০ দিনের জন্য ১০ হাজার রুপি, ৩১-৯০ দিনের জন্য ২০ হাজার রুপি, ৯১-১৮০ দিনের জন্য ৫০ হাজার রুপি, ১৮১ দিন থেকে এক বছরের জন্য ১ লাখ রুপি এবং এক বছরের বেশি অবস্থানের জন্য প্রতি অতিরিক্ত বছরের জন্য ৫০ হাজার রুপি, সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ রুপি।

আইনের বাস্তবায়ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত হবে এবং শাস্তিমূলক ঝুঁকি থাকবে না।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

পাসপোর্ট ছাড়াই অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য জরিমানা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতে নতুন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়া দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারবেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

আইনের আওতায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন। এমনকি যারা দেশটিতে প্রবেশের পর তাদের নথির মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের পাশাপাশি তিব্বতের নাগরিকরাও যারা ১৯৫৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য। তবে চীন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তানের পথে ভারতে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

আইন অনুযায়ী, বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৩ লাখ রুপি জরিমানা ধার্য করা আছে।

তিব্বতি, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের জন্য অতিরিক্ত অবস্থানের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী জরিমানার হার নিচে দেওয়া হয়েছে: ৩০ দিনের জন্য ১০ হাজার রুপি, ৩১-৯০ দিনের জন্য ২০ হাজার রুপি, ৯১-১৮০ দিনের জন্য ৫০ হাজার রুপি, ১৮১ দিন থেকে এক বছরের জন্য ১ লাখ রুপি এবং এক বছরের বেশি অবস্থানের জন্য প্রতি অতিরিক্ত বছরের জন্য ৫০ হাজার রুপি, সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ রুপি।

আইনের বাস্তবায়ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত হবে এবং শাস্তিমূলক ঝুঁকি থাকবে না।