০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে গুগলকে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

মার্কিন আদালত ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে গুগলকে প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। ফেডারেল কোর্ট, সান ফ্রান্সিসকোতে চলা মামলায় বলা হয়, গুগল দীর্ঘ আট বছর ধরে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ডিভাইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে, যদিও অনেক ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্টে ট্র্যাকিং বা নজরদারি ফিচার বন্ধ করেছিলেন।

বাদীপক্ষের দাবি, গুগলের এই তথ্য সংগ্রহ ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ অ্যাক্টিভিটি সেটিংসের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা হরণ করেছে। আদালত তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি দিকেই গুগলকে দায়ী করেছে, যদিও তারা ‘ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ’ দেখায়নি, তাই কোনো শাস্তিমূলক জরিমানা আরোপ করা হয়নি।

মামলায় বাদীপক্ষ প্রথমে ৩১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছেন। রায়ের পর গুগলের মুখপাত্র হোসে কাস্তানেদা জানিয়েছেন, কোম্পানি আপিল করবে এবং দাবি করেছে যে তথ্যগুলো ব্যক্তিগত নয়, ছদ্মনাম ব্যবহার করা, আলাদাভাবে সংরক্ষিত ও এনক্রিপটেড। গুগল উল্লেখ করেছে, ব্যবহারকারীরা পার্সোনালাইজেশন বন্ধ করলে কোম্পানি তা সম্মান করে।

এই ক্লাস-অ্যাকশন মামলা ২০২০ সালের জুলাইয়ে দায়ের করা হয় এবং পরে এটি ৯৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এবং ১৭৪ মিলিয়ন ডিভাইসকে অন্তর্ভুক্ত করে। অভিযোগে বলা হয়, গুগল উবার, ভেনমো এবং মেটার ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করেছিল। বাদীপক্ষের আইনজীবী ডেভিড বোইস বলেছেন, “আমরা রায়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এটি প্রমাণ করেছে, গুগল ব্যবহারকারীর আস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”

ট্যাগ

গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে গুগলকে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন আদালত ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে গুগলকে প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। ফেডারেল কোর্ট, সান ফ্রান্সিসকোতে চলা মামলায় বলা হয়, গুগল দীর্ঘ আট বছর ধরে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ডিভাইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে, যদিও অনেক ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্টে ট্র্যাকিং বা নজরদারি ফিচার বন্ধ করেছিলেন।

বাদীপক্ষের দাবি, গুগলের এই তথ্য সংগ্রহ ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ অ্যাক্টিভিটি সেটিংসের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা হরণ করেছে। আদালত তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি দিকেই গুগলকে দায়ী করেছে, যদিও তারা ‘ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ’ দেখায়নি, তাই কোনো শাস্তিমূলক জরিমানা আরোপ করা হয়নি।

মামলায় বাদীপক্ষ প্রথমে ৩১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছেন। রায়ের পর গুগলের মুখপাত্র হোসে কাস্তানেদা জানিয়েছেন, কোম্পানি আপিল করবে এবং দাবি করেছে যে তথ্যগুলো ব্যক্তিগত নয়, ছদ্মনাম ব্যবহার করা, আলাদাভাবে সংরক্ষিত ও এনক্রিপটেড। গুগল উল্লেখ করেছে, ব্যবহারকারীরা পার্সোনালাইজেশন বন্ধ করলে কোম্পানি তা সম্মান করে।

এই ক্লাস-অ্যাকশন মামলা ২০২০ সালের জুলাইয়ে দায়ের করা হয় এবং পরে এটি ৯৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এবং ১৭৪ মিলিয়ন ডিভাইসকে অন্তর্ভুক্ত করে। অভিযোগে বলা হয়, গুগল উবার, ভেনমো এবং মেটার ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করেছিল। বাদীপক্ষের আইনজীবী ডেভিড বোইস বলেছেন, “আমরা রায়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এটি প্রমাণ করেছে, গুগল ব্যবহারকারীর আস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”