
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকার তার প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, তিনি ডাকসু নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন করছেন।
মাহিন সরকারের বক্তব্য
মাহিন সরকার বলেন, “শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের সব জায়গায় গণঅভ্যুত্থানের শক্তিদের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। সেই ঐক্য যদি ডাকসু নির্বাচনে জয়লাভ করে, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে দায়িত্ব আরও বাড়বে।”
তিনি আরও জানান, “আমি আমার সমর্থন ব্যক্ত করছি আবু বাকের মজুমদারের প্রতি। আবু বাকেরের বিজয় মানে আমার বিজয়।” মাহিন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ডাকসু নির্বাচনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থানমুখী শিক্ষার্থী শক্তির ঐক্য দৃঢ় করবে।
নির্বাচনী প্রেক্ষাপট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সমাজে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে শুধুমাত্র সাধারণ নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালী হিসেবে দেখা হয়। সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল-এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই নির্বাচনের মূল আকর্ষণ। মাহিন সরকারের সরে দাঁড়ানো এবং আবু বাকেরের প্রতি সমর্থন ঘোষণা দুই প্যানেলের মধ্যে প্রভাবশালী ভোটে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
ছাত্রসমাজের প্রতিক্রিয়া
ছাত্রসমাজে এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, মাহিন সরকারের সমর্থন আবু বাকেরের পক্ষে ভোটার আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে গণঅভ্যুত্থানমুখী ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে।