১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে সবজির দাম আকাশছোঁয়া

রাজধানীর বাজারে তিন মাস ধরে সবজির দাম ক্রমবর্ধমান। আলু এবং কাঁচা পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজির কেজি দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। ক্রেতারা একবারে পুরো কেজি না কিনে আধা কেজি করে সবজি কিনছেন। এতে বিক্রেতাদের বিক্রিও কমেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, মুলা ৮০ টাকা কেজি, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা কেজি এবং বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, ধন্দুল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ১০০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা কেজি, শাসা ৮০ টাকা কেজি এবং টমেটো ১৪০ টাকা কেজি দরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা, কঁচু ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, কঁচুর লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে সবজির দাম এত বেশি। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এত দামে সবজি কেনা কঠিন। আমি নিজে এক-একটি আইটেম অল্প করে কিনেছি। বাজারে মনিটরিং বা পদক্ষেপ না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে।”

কমলাপুর বাজারের বিক্রেতা সোহাগ জানান, “দামের কারণে বিক্রি কমে গেছে। আগে যেখানে এক কেজি বিক্রি হত, এখন ক্রেতারা আধা কেজি কিনছেন। সারাদিনে  আগে বিক্রি  হত ২০ কেজি, এখন  বিক্রি হয় ৫ কেজি।”

মালিবাগের বিক্রেতা মোখলেছুর  রহমান বলেছেন, “কিছুদিন এমন দাম থাকবে। এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ। নতুন সবজি বাজারে ওঠার আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম এই অবস্থায় থাকবে।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারি নজরদারি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সমন্বয় জরুরি। পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্কট কমানো সম্ভব।

ট্যাগ

রাজধানীতে সবজির দাম আকাশছোঁয়া

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর বাজারে তিন মাস ধরে সবজির দাম ক্রমবর্ধমান। আলু এবং কাঁচা পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজির কেজি দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। ক্রেতারা একবারে পুরো কেজি না কিনে আধা কেজি করে সবজি কিনছেন। এতে বিক্রেতাদের বিক্রিও কমেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, মুলা ৮০ টাকা কেজি, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা কেজি এবং বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, ধন্দুল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ১০০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা কেজি, শাসা ৮০ টাকা কেজি এবং টমেটো ১৪০ টাকা কেজি দরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা, কঁচু ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, কঁচুর লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে সবজির দাম এত বেশি। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এত দামে সবজি কেনা কঠিন। আমি নিজে এক-একটি আইটেম অল্প করে কিনেছি। বাজারে মনিটরিং বা পদক্ষেপ না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে।”

কমলাপুর বাজারের বিক্রেতা সোহাগ জানান, “দামের কারণে বিক্রি কমে গেছে। আগে যেখানে এক কেজি বিক্রি হত, এখন ক্রেতারা আধা কেজি কিনছেন। সারাদিনে  আগে বিক্রি  হত ২০ কেজি, এখন  বিক্রি হয় ৫ কেজি।”

মালিবাগের বিক্রেতা মোখলেছুর  রহমান বলেছেন, “কিছুদিন এমন দাম থাকবে। এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ। নতুন সবজি বাজারে ওঠার আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম এই অবস্থায় থাকবে।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারি নজরদারি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সমন্বয় জরুরি। পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্কট কমানো সম্ভব।