
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম হয় রবিউল আউয়াল মাসে ইয়ামুল ইসনাইন (সোমবার) আমুল ফিল সালে (হাতির বছর)। কবি আহমদ শাওকি এ দিনকে স্মরণ করে বলেন : জন্ম নিল হিদায়াত, আর বিশ্বজগত আলোকিত হলো। তার জন্মের হাজার বছর ধরে জ্বালিয়ে রাখা পারস্যের আগুন নিভে যায়, তাগুতের সিংহাসন কেঁপে উঠে, বাতিলের ভিত নড়ে ওঠে। সত্যিকার অর্থে, এটি ছিল মানবজাতির ইতিহাসে এক নতুন মোড়। পৃথিবী এই দিনই পেয়েছিল ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’।
ইবন কাসীর উল্লেখ করেছেন, নবীজির জন্মের সময় তার মায়ের দেখা আলো শাম (সিরিয়া) অঞ্চলের প্রাসাদে আলো ছড়িয়েছিল—এটি এক ইঙ্গিত যে, ইসলাম পরবর্তীতে শাম অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে এবং কিয়ামতের আগে এখানেই ঈমানের শেষ দুর্গ হবে—যা সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
সেই দিন পারস্যের আগুন নিভে যায়, তাগুতের সিংহাসন কেঁপে ওঠে, বাতিল শক্তির ভিত নড়ে ওঠে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এসব ঘটনা নবীজীর আগমনের মহত্ত্ব ও ইসলামের বিস্তারের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে।
নবীজীর জন্ম মানবজাতির ইতিহাসে নতুন মোড় আনে, যা শুধু আরব নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে যায়। এটি ছিল আল্লাহর পরিকল্পনা ও পূর্বঘোষিত ঐশী দায়িত্বের পূর্ণ বাস্তবায়ন।