০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় পারিবারিক কলহে ঘরে আগুন: দগ্ধ স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশু

মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন স্বামী, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এক শিশু সন্তান।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শনিবার সকালে অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার (৪২) হাজিপুর পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন।

দগ্ধরা হলেন— স্বামী বাহারুল ইসলাম (৫০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী বেগম (৩০) ও তাদের ১৩ মাসের শিশু সন্তান রোহান।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাহারুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। কয়েক দিন আগে তারা মাগুরার বাড়িতে আসেন। ঘটনার রাতে বাহারুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তান ঘুমিয়ে থাকার সময় প্রথম স্ত্রী সুমি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

বাহারুলের মা অভিযোগ করে বলেন, “গত রাতে সুমি দোকান থেকে পেট্রোল কিনে এনে আমার ছেলের ঘরে আগুন দিয়েছে। সেখানে আমার ছেলের ছোট বউ আর নাতি ঘুমিয়ে ছিল।”

মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আনসারুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাগুরায় পারিবারিক কলহে ঘরে আগুন: দগ্ধ স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশু

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন স্বামী, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এক শিশু সন্তান।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শনিবার সকালে অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার (৪২) হাজিপুর পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন।

দগ্ধরা হলেন— স্বামী বাহারুল ইসলাম (৫০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী বেগম (৩০) ও তাদের ১৩ মাসের শিশু সন্তান রোহান।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাহারুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। কয়েক দিন আগে তারা মাগুরার বাড়িতে আসেন। ঘটনার রাতে বাহারুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তান ঘুমিয়ে থাকার সময় প্রথম স্ত্রী সুমি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

বাহারুলের মা অভিযোগ করে বলেন, “গত রাতে সুমি দোকান থেকে পেট্রোল কিনে এনে আমার ছেলের ঘরে আগুন দিয়েছে। সেখানে আমার ছেলের ছোট বউ আর নাতি ঘুমিয়ে ছিল।”

মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আনসারুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।