০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় হঠাৎ করেই কয়েক হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পূর্বের মাসগুলোর তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি বিল আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও আতঙ্ক।

স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত যেখানে মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে হতো, সেখানে চলতি মাসে এসেছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আবার, যাদের বিল মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা হতো, তাদের হাতে এবার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বিল।

টানা বর্ষণে এমনিতেই জনদুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল যেন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা” হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ করা হলেও গাংনী সাব-জোনাল অফিস থেকে কোনো কার্যকর প্রতিকার মিলছে না।

প্রতিকার না পেয়ে বুধবার সকাল ১১টায় ক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ ভুক্তভোগীরা গাংনী বাজারে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, অবিলম্বে এ ভুতুড়ে বিল সংশোধন করতে হবে, নতুবা তারা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন।

স্থানীয় গ্রাহক আহাম্মেদ আলী বলেন, “প্রতি মাসে আমার বিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আসতো, কিন্তু এবার এসেছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আবার যাদের মাসে দেড়-দুই হাজার টাকা বিল হতো, তাদের বিল ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।”

আরেক ভুক্তভোগী জাহান্নারা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জুলাই মাসে আমার বিল ছিল ৫০০ টাকা, আর আগস্টে হয়ে গেছে ২০০০ টাকারও বেশি। শুধু আমি নই, পুরো গ্রামের মানুষের একই অবস্থা।”

ভুক্তভোগী মারফত আলী অভিযোগ করে বলেন, “খেটে খাওয়া মানুষগুলো সঠিক বিল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর এমন অস্বাভাবিক বিল দিচ্ছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যুৎ অফিসের খামখেয়ালিপনার ফল।”

সাহারবাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, “পূর্বের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি বিল এসেছে। এলাকাবাসী এর প্রতিকার না পেলে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করবে।”

এ বিষয়ে গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম বিজয় চন্দ্র কুন্ডু বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। সার্বিক তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাংনীতে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৩১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় হঠাৎ করেই কয়েক হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পূর্বের মাসগুলোর তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি বিল আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও আতঙ্ক।

স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত যেখানে মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে হতো, সেখানে চলতি মাসে এসেছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আবার, যাদের বিল মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা হতো, তাদের হাতে এবার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বিল।

টানা বর্ষণে এমনিতেই জনদুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল যেন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা” হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ করা হলেও গাংনী সাব-জোনাল অফিস থেকে কোনো কার্যকর প্রতিকার মিলছে না।

প্রতিকার না পেয়ে বুধবার সকাল ১১টায় ক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ ভুক্তভোগীরা গাংনী বাজারে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, অবিলম্বে এ ভুতুড়ে বিল সংশোধন করতে হবে, নতুবা তারা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন।

স্থানীয় গ্রাহক আহাম্মেদ আলী বলেন, “প্রতি মাসে আমার বিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আসতো, কিন্তু এবার এসেছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আবার যাদের মাসে দেড়-দুই হাজার টাকা বিল হতো, তাদের বিল ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।”

আরেক ভুক্তভোগী জাহান্নারা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জুলাই মাসে আমার বিল ছিল ৫০০ টাকা, আর আগস্টে হয়ে গেছে ২০০০ টাকারও বেশি। শুধু আমি নই, পুরো গ্রামের মানুষের একই অবস্থা।”

ভুক্তভোগী মারফত আলী অভিযোগ করে বলেন, “খেটে খাওয়া মানুষগুলো সঠিক বিল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর এমন অস্বাভাবিক বিল দিচ্ছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যুৎ অফিসের খামখেয়ালিপনার ফল।”

সাহারবাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, “পূর্বের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি বিল এসেছে। এলাকাবাসী এর প্রতিকার না পেলে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করবে।”

এ বিষয়ে গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম বিজয় চন্দ্র কুন্ডু বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। সার্বিক তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”