০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমাদের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে”— দাবি জেন-জি নেতৃত্বের

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জেন-জির নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলনের পর গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

রাজধানী কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। এমনকি কারাগারে হামলা চালিয়ে শত শত কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে দুর্বৃত্তরা।

জেন-জি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এসব অরাজকতার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। তাদের অভিযোগ, ‘সুবিধাবাদী’ একটি গোষ্ঠী আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।

অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয়। ভোর থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়, আর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

সেনাবাহিনীর কড়া অবস্থানের পর বুধবার সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সাধারণ মানুষ সেনাদের নির্দেশনা মেনে ঘরে অবস্থান করেন। যারা বাইরে যাচ্ছেন তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। লাউডস্পিকারে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে—‘অপ্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হবেন না।’

তবে এর মধ্যেই কিছু তরুণ রাস্তায় নেমে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিষ্কার করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ বছরের এক কিশোরী সাং লামা। বিবিসিকে সে জানায়, “নেপালে অনেকদিন ধরে দুর্নীতি আর দুঃশাসন চলছে। আমাদের আশা, এবার সত্যিই এর সমাপ্তি ঘটবে।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“আমাদের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে”— দাবি জেন-জি নেতৃত্বের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জেন-জির নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলনের পর গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

রাজধানী কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। এমনকি কারাগারে হামলা চালিয়ে শত শত কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে দুর্বৃত্তরা।

জেন-জি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এসব অরাজকতার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। তাদের অভিযোগ, ‘সুবিধাবাদী’ একটি গোষ্ঠী আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।

অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয়। ভোর থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়, আর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

সেনাবাহিনীর কড়া অবস্থানের পর বুধবার সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সাধারণ মানুষ সেনাদের নির্দেশনা মেনে ঘরে অবস্থান করেন। যারা বাইরে যাচ্ছেন তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। লাউডস্পিকারে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে—‘অপ্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হবেন না।’

তবে এর মধ্যেই কিছু তরুণ রাস্তায় নেমে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিষ্কার করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ বছরের এক কিশোরী সাং লামা। বিবিসিকে সে জানায়, “নেপালে অনেকদিন ধরে দুর্নীতি আর দুঃশাসন চলছে। আমাদের আশা, এবার সত্যিই এর সমাপ্তি ঘটবে।”