১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণবিক্ষোভে ২০০ বিলিয়ন রুপির সরকারি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত

চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেপালে দুই দিনের গণবিক্ষোভে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই বিক্ষোভে অন্তত ২০০ বিলিয়ন রুপির বেশি মূল্যের সরকারি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধ্বংসের শিকার হয়েছে সিংহ দরবার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সচিবালয়), পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। এগুলোতে ইতোমধ্যে ভূমিকম্প পর ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করা হয়েছিল, কিন্তু বিক্ষোভের পর এসব ভবন বেশিরভাগই সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নতুন করে তৈরি করতে আরও ২০০ বিলিয়ন রুপি ব্যয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা শুধু রাজধানী কাঠমান্ডুতে নয়, পোখারা, ইতাহারি, জনকপুর, ধানগধি এবং বিরাটনগরেও সরকারি অফিস, প্রাদেশিক বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়, কারাগার, পুলিশ স্টেশন, ভূমি ও রাজস্ব অফিসসহ অন্যান্য ভবনে আগুন দিয়েছে।

তাদের ধ্বংসযজ্ঞে ব্যক্তিগত সম্পদও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি, ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স, পর্যটন অবকাঠামো, গাড়ির শোরুম এবং গণমাধ্যমের কার্যালয়েও আগুন দিয়েছে।

পুলিশের গুলিতে সোমবার ১৯ জন নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নেয়। দুই দিনের গণবিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ধ্বংসযজ্ঞের কারণে সরকারি কর্মকাণ্ড থমকে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের ভবন পুড়ে যাওয়ায় তাঁবুতে অফিস স্থাপন করে কাজ চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার গণবিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। তবে নতুন সরকার গঠনের পরও মন্ত্রিসভার বৈঠক করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান নেই।

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন রুপি হলেও বাস্তবে তা আরও বেশি হতে পারে বলে নেপালের নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গণবিক্ষোভে ২০০ বিলিয়ন রুপির সরকারি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেপালে দুই দিনের গণবিক্ষোভে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই বিক্ষোভে অন্তত ২০০ বিলিয়ন রুপির বেশি মূল্যের সরকারি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধ্বংসের শিকার হয়েছে সিংহ দরবার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সচিবালয়), পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। এগুলোতে ইতোমধ্যে ভূমিকম্প পর ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করা হয়েছিল, কিন্তু বিক্ষোভের পর এসব ভবন বেশিরভাগই সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নতুন করে তৈরি করতে আরও ২০০ বিলিয়ন রুপি ব্যয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা শুধু রাজধানী কাঠমান্ডুতে নয়, পোখারা, ইতাহারি, জনকপুর, ধানগধি এবং বিরাটনগরেও সরকারি অফিস, প্রাদেশিক বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়, কারাগার, পুলিশ স্টেশন, ভূমি ও রাজস্ব অফিসসহ অন্যান্য ভবনে আগুন দিয়েছে।

তাদের ধ্বংসযজ্ঞে ব্যক্তিগত সম্পদও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি, ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স, পর্যটন অবকাঠামো, গাড়ির শোরুম এবং গণমাধ্যমের কার্যালয়েও আগুন দিয়েছে।

পুলিশের গুলিতে সোমবার ১৯ জন নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নেয়। দুই দিনের গণবিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ধ্বংসযজ্ঞের কারণে সরকারি কর্মকাণ্ড থমকে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের ভবন পুড়ে যাওয়ায় তাঁবুতে অফিস স্থাপন করে কাজ চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার গণবিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। তবে নতুন সরকার গঠনের পরও মন্ত্রিসভার বৈঠক করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান নেই।

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন রুপি হলেও বাস্তবে তা আরও বেশি হতে পারে বলে নেপালের নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।