০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জান্নাতকে ঘিরে কষ্ট, জাহান্নামকে ঘিরে ভোগবিলাস

মানুষের স্বভাব এমন যে সে নেক কাজের তুলনায় পাপের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। কারণ, প্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনায় পাপকে আকর্ষণীয় মনে হয়, কিন্তু নেক আমল অনেক সময় কষ্টকর মনে হয়। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন, “জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে কষ্টকর কাজ দ্বারা আর জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় কাজ দ্বারা।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫) অর্থাৎ, জান্নাত লাভ করতে হলে মানুষকে ধৈর্য ধরে আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হয়, আর জাহান্নামের দিকে মানুষ সহজেই চলে যায় কারণ সেখানে ভোগবিলাস, কামনা-বাসনার পথগুলো খোলা থাকে।

কোরআনে মানুষকে নেক কাজে অগ্রসর হতে এবং পাপ থেকে দূরে থাকতে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।” (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩-১৩৪)

এ আয়াতে জান্নাতের অধিকারী হওয়ার জন্য তিনটি গুণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে—সুখে-দুঃখে দানশীল হওয়া, ক্রোধ দমন করা এবং মানুষকে ক্ষমা করা। এগুলো নেক আমলের মূল বৈশিষ্ট্য। ইসলাম শিখিয়েছে, নেক কাজ হয়তো শুরুতে কষ্টকর মনে হতে পারে, কিন্তু এর ফলাফল জান্নাত। অন্যদিকে পাপের কাজ শুরুতে আকর্ষণীয় হলেও এর পরিণতি জাহান্নামের শাস্তি। তাই মানুষকে সর্বদা নেক কাজের দিকে প্রতিযোগিতা করতে এবং পাপের আহ্বান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জান্নাতকে ঘিরে কষ্ট, জাহান্নামকে ঘিরে ভোগবিলাস

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানুষের স্বভাব এমন যে সে নেক কাজের তুলনায় পাপের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। কারণ, প্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনায় পাপকে আকর্ষণীয় মনে হয়, কিন্তু নেক আমল অনেক সময় কষ্টকর মনে হয়। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন, “জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে কষ্টকর কাজ দ্বারা আর জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় কাজ দ্বারা।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫) অর্থাৎ, জান্নাত লাভ করতে হলে মানুষকে ধৈর্য ধরে আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হয়, আর জাহান্নামের দিকে মানুষ সহজেই চলে যায় কারণ সেখানে ভোগবিলাস, কামনা-বাসনার পথগুলো খোলা থাকে।

কোরআনে মানুষকে নেক কাজে অগ্রসর হতে এবং পাপ থেকে দূরে থাকতে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।” (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩-১৩৪)

এ আয়াতে জান্নাতের অধিকারী হওয়ার জন্য তিনটি গুণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে—সুখে-দুঃখে দানশীল হওয়া, ক্রোধ দমন করা এবং মানুষকে ক্ষমা করা। এগুলো নেক আমলের মূল বৈশিষ্ট্য। ইসলাম শিখিয়েছে, নেক কাজ হয়তো শুরুতে কষ্টকর মনে হতে পারে, কিন্তু এর ফলাফল জান্নাত। অন্যদিকে পাপের কাজ শুরুতে আকর্ষণীয় হলেও এর পরিণতি জাহান্নামের শাস্তি। তাই মানুষকে সর্বদা নেক কাজের দিকে প্রতিযোগিতা করতে এবং পাপের আহ্বান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।