০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহু: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। একই সঙ্গে তিনি পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।

নতুন বসতিটি ‘ইস্ট ১’ বা ‘ই-ওয়ান’ নামে পরিচিত। এটি ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত এবং এখানে ৩,৪০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরের একটি বড় অংশ পূর্ব জেরুজালেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে গড়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে উঠবে।

প্রকল্পের অনুমোদনের সময় নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছি—কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। এই জায়গা আমাদের।” তিনি আরও জানান, শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ মন্তব্য করেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রই এই অঞ্চলে শান্তির চাবিকাঠি। তিনি ইসরায়েলি বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু পুরো অঞ্চলকে “অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দিচ্ছেন।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন বসতিগুলো পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের ভৌগোলিক সংযোগ ধ্বংস করবে এবং ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে দেবে।

নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের পক্ষে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার বিরোধী। ১৯৯০-এর দশকে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নেতানিয়াহু: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। একই সঙ্গে তিনি পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।

নতুন বসতিটি ‘ইস্ট ১’ বা ‘ই-ওয়ান’ নামে পরিচিত। এটি ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত এবং এখানে ৩,৪০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরের একটি বড় অংশ পূর্ব জেরুজালেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে গড়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে উঠবে।

প্রকল্পের অনুমোদনের সময় নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছি—কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। এই জায়গা আমাদের।” তিনি আরও জানান, শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ মন্তব্য করেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রই এই অঞ্চলে শান্তির চাবিকাঠি। তিনি ইসরায়েলি বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু পুরো অঞ্চলকে “অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দিচ্ছেন।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন বসতিগুলো পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের ভৌগোলিক সংযোগ ধ্বংস করবে এবং ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে দেবে।

নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের পক্ষে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার বিরোধী। ১৯৯০-এর দশকে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।