০৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে সুশীলা কার্কির শপথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবেও পরিচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নিয়োগ অন্তর্বর্তী সময়ে স্থিতিশীলতা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। দুই দেশই বাণিজ্য, জ্বালানি, পর্যটন ও আঞ্চলিক সংযোগ জোরদারে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষত বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সফর ও চুক্তির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।

কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের প্রতি উভয় দেশের আগ্রহ ও গুরুত্বের প্রতিফলন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর যৌথ অবস্থান ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হতে পারে।

ট্যাগ

নেপালে সুশীলা কার্কির শপথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৫২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবেও পরিচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নিয়োগ অন্তর্বর্তী সময়ে স্থিতিশীলতা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। দুই দেশই বাণিজ্য, জ্বালানি, পর্যটন ও আঞ্চলিক সংযোগ জোরদারে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষত বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সফর ও চুক্তির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।

কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের প্রতি উভয় দেশের আগ্রহ ও গুরুত্বের প্রতিফলন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর যৌথ অবস্থান ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হতে পারে।