০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফতাবনগর-বনশ্রীতে তিন সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন কাল

আফতাবনগর-বনশ্রী এলাকার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। দুই এলাকার লাখো মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে তিনটি নতুন সেতুর মাধ্যমে। আগামীকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আফতাবনগর-বনশ্রীর মাঝে নড়াই নদীর (রামপুরা খাল) উপর এই তিন সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। লেকভিউ রোড, আফতাবনগরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএনসিসির মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, তিনটি সেতুর মধ্যে দুটি সেতু হবে গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ যান চলাচলের উপযোগী। আরেকটি সেতু কেবল পথচারীদের জন্য নির্মাণ করা হবে। এগুলো নির্মিত হবে আগের বাঁশের সাঁকোর স্থানে, যা স্থানীয়দের জন্য বহুদিন ধরেই ছিল একমাত্র ভরসা।

প্রস্তাবিত সেতুগুলোর নাম হবে “নড়াই সেতু”। বনশ্রী খাল নামে পরিচিত এই জলপথ আশির দশকেও ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী। অবৈধ দখলের কারণে নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে এটি খালে রূপ নেয়। তবে ডিএনসিসির উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একে পুনরায় নদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গত জুলাই মাসে এলাকা পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, আফতাবনগর ও বনশ্রীর মধ্যে সহজ যোগাযোগের জন্য প্রধান সড়কের পাশাপাশি বিকল্প সংযোগ অপরিহার্য। তাই এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী নড়াই নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, নড়াই নদী রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে রামপুরা থেকে নৌপথে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন চালুর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আফতাবনগর-বনশ্রীতে তিন সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন কাল

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:১২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফতাবনগর-বনশ্রী এলাকার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। দুই এলাকার লাখো মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে তিনটি নতুন সেতুর মাধ্যমে। আগামীকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আফতাবনগর-বনশ্রীর মাঝে নড়াই নদীর (রামপুরা খাল) উপর এই তিন সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। লেকভিউ রোড, আফতাবনগরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএনসিসির মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, তিনটি সেতুর মধ্যে দুটি সেতু হবে গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ যান চলাচলের উপযোগী। আরেকটি সেতু কেবল পথচারীদের জন্য নির্মাণ করা হবে। এগুলো নির্মিত হবে আগের বাঁশের সাঁকোর স্থানে, যা স্থানীয়দের জন্য বহুদিন ধরেই ছিল একমাত্র ভরসা।

প্রস্তাবিত সেতুগুলোর নাম হবে “নড়াই সেতু”। বনশ্রী খাল নামে পরিচিত এই জলপথ আশির দশকেও ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী। অবৈধ দখলের কারণে নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে এটি খালে রূপ নেয়। তবে ডিএনসিসির উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একে পুনরায় নদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গত জুলাই মাসে এলাকা পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, আফতাবনগর ও বনশ্রীর মধ্যে সহজ যোগাযোগের জন্য প্রধান সড়কের পাশাপাশি বিকল্প সংযোগ অপরিহার্য। তাই এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী নড়াই নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, নড়াই নদী রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে রামপুরা থেকে নৌপথে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন চালুর সম্ভাবনা তৈরি হবে।