০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গভীর সহযোগিতার অঙ্গীকার ড. ইউনূসের

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরও গভীর করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনূস ৩১ জুলাই ইউএসটিআরের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি একে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিজ পণ্য আমদানি বাড়ানো, এলপিজি আমদানি, সিভিল এয়ারক্রাফট কেনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত, এতে শুল্ক ছাড়ের নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং দুই দেশের মধ্যে টেকসই বাণিজ্য অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে। তিনি চলমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া দ্রুত সই হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্বার্থের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা শ্রম কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান ও ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন। ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দরজা আরও প্রসারিত করতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বদ্ধপরিকর। ইউএসটিআর প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক থেকে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা আলোচনাকে সহজ ও ফলপ্রসূ করেছে। তিনি শুল্কচুক্তি ও ক্রয় প্রতিশ্রুতিগুলো সময়মতো বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআর দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গভীর সহযোগিতার অঙ্গীকার ড. ইউনূসের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:২৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরও গভীর করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনূস ৩১ জুলাই ইউএসটিআরের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি একে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিজ পণ্য আমদানি বাড়ানো, এলপিজি আমদানি, সিভিল এয়ারক্রাফট কেনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত, এতে শুল্ক ছাড়ের নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং দুই দেশের মধ্যে টেকসই বাণিজ্য অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে। তিনি চলমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া দ্রুত সই হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্বার্থের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা শ্রম কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান ও ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন। ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দরজা আরও প্রসারিত করতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বদ্ধপরিকর। ইউএসটিআর প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক থেকে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা আলোচনাকে সহজ ও ফলপ্রসূ করেছে। তিনি শুল্কচুক্তি ও ক্রয় প্রতিশ্রুতিগুলো সময়মতো বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআর দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।