০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের গণহত্যা নিশ্চিত করল জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানাল জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন (সিওআই)। সংস্থাটি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, গণহারে মানুষ হত্যা, ত্রাণ প্রবেশে অবরোধ, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি এবং শিশু ক্লিনিক ধ্বংসের মতো কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, ইসরায়েল গাজায় স্পষ্টতই গণহত্যা চালিয়েছে।

কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, “গাজায় গণহত্যা হচ্ছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব নৃশংস অপরাধের দায় ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ওপর বর্তায়, যারা গত দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে।” তিনি আরও জানান, গাজার শিশু, নারী ও বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে হামলার মাধ্যমে এক প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।

তদন্ত কমিশন জাতিসংঘের সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি সংস্থা। তবে গাজায় যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনুসন্ধান করায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল এই সংস্থার সমালোচনা করে আসছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েল প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কমিশনকে বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন প্রকাশের একই দিনে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থল অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং দেড় লাখের বেশি আহত হয়েছেন। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে গাজার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।

এ ছাড়া ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের কারণে গাজার বিভিন্ন স্থানে তীব্র খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে, যা মানবিক বিপর্যয়কে আরও জটিল করে তুলছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসরায়েলের গণহত্যা নিশ্চিত করল জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানাল জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন (সিওআই)। সংস্থাটি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, গণহারে মানুষ হত্যা, ত্রাণ প্রবেশে অবরোধ, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি এবং শিশু ক্লিনিক ধ্বংসের মতো কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, ইসরায়েল গাজায় স্পষ্টতই গণহত্যা চালিয়েছে।

কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, “গাজায় গণহত্যা হচ্ছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব নৃশংস অপরাধের দায় ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ওপর বর্তায়, যারা গত দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে।” তিনি আরও জানান, গাজার শিশু, নারী ও বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে হামলার মাধ্যমে এক প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।

তদন্ত কমিশন জাতিসংঘের সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি সংস্থা। তবে গাজায় যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনুসন্ধান করায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল এই সংস্থার সমালোচনা করে আসছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েল প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কমিশনকে বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন প্রকাশের একই দিনে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থল অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং দেড় লাখের বেশি আহত হয়েছেন। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে গাজার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।

এ ছাড়া ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের কারণে গাজার বিভিন্ন স্থানে তীব্র খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে, যা মানবিক বিপর্যয়কে আরও জটিল করে তুলছে।